বিরোধী দলের টানা তিন দিনের অবরোধের প্রথম দিনে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) চট্টগ্রাম জেলা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা না গেলেও শহরের অভ্যন্তরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
কক্সবাজার, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হরতালে মাঠে নেই বিএনপি, দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ
এ ছাড়া বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা তিন দিনের অবরোধের প্রথম দিনে মঙ্গলবার তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুবেল হাওলাদার জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বন্দরনগরীর সল্টগোলা এলাকায় একটি বাসে এবং সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামপাড়া বাস কাউন্টারে এবং ভোর সাড়ে ৩টার দিকে অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়কে দুটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালিউল্লাহ আকবর জানান, বিকালে আকবর শাহ সিটি গেইট এলাকা থেকে ১৪ জন পিকেটারকে আটক করা হয়। তারা সিটি গেট থেকে পাক্কার মাথা পর্যন্ত ১০-১২টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
মিরসরাই সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও মিরসরাই উপজেলায় বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ এলাকায় দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিক জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
পিকেটিং দেখা না গেলেও অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২ পিকআপ ভ্যানে আগুন