ভোলা জেলার নতুন কূপ নর্থ-২ এ গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে। সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, একটি নতুন কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ভোলা নর্থ-২ গ্যাসক্ষেত্রে খনন কাজ শুরু হয় এবং মাটির নিচে তিন হাজার ৪২৮ মিটার গভীরে পৌঁছে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি শেষ হয়। আজ (সোমবার) ড্রিল-স্টেম টেস্টিং (ডিএসটি) শেষ হওয়ার পর এই গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধান কূপে ডিএসটি হল তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের শেষ ধাপ।
‘চূড়ান্ত উৎপাদন পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর গ্যাস উৎপাদনের প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। তবে বাপেক্স আশাবাদী যে ক্ষেত্রটি প্রতিদিন ২০ এমএমসিএফ গ্যাস উৎপাদন করবে’, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নতুন গ্যাস পাওয়ায় বাপেক্সকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্যাস অনুসন্ধান অব্যাহত রাখতে হবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত মোট ৪৬টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন এবং ওয়ার্ক-ওভার কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান
নসরুল হামিদ চলমান গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন কার্যক্রম আরও জোরদার করার জন্য তার মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ সংস্থার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, সরকার দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধান বাড়ানোর কার্যক্রমের পাশাপাশি কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ব্রুনাইয়ের মতো তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী দেশগুলোর সঙ্গে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মন্ত্রণালয় একটি ফেসবুক পোস্টে নতুন গ্যাস অনুসন্ধানের ঘোষণা দিয়ে বলেছে যে ক্ষেত্রটি প্রতিদিন ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস (এমএমসিএফডি) উৎপাদন করবে।
এই গ্যাসক্ষেত্র খনন কাজের সঙ্গে জড়িত সমস্ত কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের এই মুহুর্তে ভাল খবর নিয়ে এসেছে।’
এর আগে গত বছরের ৩ নভেম্বর ভোলার গ্যাসক্ষেত্রে নতুন গ্যাসের সন্ধানের বিষয়ে একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিল মন্ত্রণালয়।
এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ভোলা গ্যাসক্ষেত্রের অধীনে অনুসন্ধান কূপ নং-টগবি-১ থেকে ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) প্রাকৃতিক গ্যাসের নতুন কাঠামোর ঘোষণা দেন।
মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ‘সুসংবাদ’ ভাগ করে নেয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তবে কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন শুরু করতে এবং জাতীয় গ্যাস নেটওয়ার্কে সরবরাহ করতে দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগবে।’
আরও পড়ুন: সিলেট থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে আরও ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
বিয়ানীবাজারে গ্যাসের সন্ধান: বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন নিয়ে অপেক্ষা