তারা হলেন- শাকিব (১৮), করিম (১৯), জোবায়ের (১৮) ও শামীম (১৯)। তাদের সবার বাড়ি উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। ঘটনায় জড়িত আরও একজন পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর আত্মীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে মনপুরায় খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে ১৫ বছরের এক কিশোরী। গত ৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১০টায় কিশোরী খালুর বাড়ি থেকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বরে হলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা শাকিব, শামিম, জোবায়ের, করিম ও রুবেল কিশোরীর মুখ চেপে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। কিশোরীকে মনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ৪তলা ভবনের দোতলায় নিয়ে গিয়ে হাত ও পা বেঁধে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। ভোর হয়ে গেলে ওই কিশোরীকে হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় ওখানে রেখে চলে যায় আসামিরা।
পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে।
প্রথমে স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ৫ জনকে আসামি করে মনপুরা থানায় মামলা করা হয়েছে।
পরে ওই কিশোরীকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আসা হয় এবং ধর্ষণের সাথে জড়িত আসামিদের ধরতে রাতভর অভিযান চালিয়ে শাকিব, করিম ও জোবায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এ ঘটনায় জড়িত আরেক আসামি শামীমকে শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, গত সোমবার কিশোরীকে তুলে নিয়ে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর শুক্রবার বিকালে শামীম নামে আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পলাতক আরেক আসামিকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে শনিবার সকালে ভোলা সদরের ২৫০-শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।