বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাশরুবা ফেরদৌসী সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: করোনা: মাস্ক পরা নিশ্চিতে রাজধানীতে শিগগির ভ্রাম্যমাণ আদালত
গুড়িয়ে দেয়া ইটভাটাগুলো হলো- শ্রীপর উপজেলার রায়নগর এলাকার আবু জাফর পরিচালিত গড়াই ব্রিকস, নাকোল এলাকার হুমাউনুর রশিদ মুহিতের টপটেন ভাটা, মহেশপুর এলাকার লিটু শেখের জিয়া ব্রিকস, সারঙ্গদিয়া এলাকার মুশফিকুর রহমান কাননের হামিম ব্রিকস, সদর উপজেলার পুকুরিয়া এলাকার মির রওনক হোসেন চেয়ারম্যানের এইচ এন ডি ব্রিকস, বাগবারিয়া এলাকার সুমনের এমএস ব্রিকস।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে বরিশালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
সংশ্লিষ্টরা জানান, সকল ইটভাটার কাঁচা ইটগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়াসহ চিমনিগুলোও ভেঙে দেয়া হয়েছে।
গড়াই ব্রিকসের মালিক আবু জাফর বলেন, ‘আমাদের ভাটায় ২০ লাখ টাকার কাঁচা ইট ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মোট আনুমানিক দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতে আমরা অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে গেলাম, এমনকি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। অথচ সরকারের রাজস্ব খাতে প্রতিনিয়ত ভ্যাট ও ট্যাক্স দিয়ে আসছি।’ প্রত্যেকটি ইটভাটায় ১-২ কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঈদ: চট্টগ্রামে মসলার বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাশরুবা ফেরদৌসী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে আমরা অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। এর আগে আমরা জরিমানা করেছি, আদালতে মামলা করেছি। আদালত থেকে আমাদেরকে ইটভাটাগুলো ভেঙে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া যতগুলো ইটভাটা রয়েছে প্রত্যেক ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
আরও পড়ুন: গুলশানে ডিএনসিসি’র ভ্রাম্যমাণ আদালত, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
তিনি বলেন, ‘ভাটায় স্থায়ীভাবে চিমনি করে যারা ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে আসছে তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যে সব ভাটায় স্থায়ী চিমনি ব্যবহার না করে হাওয়ার মাধ্যমে ইট তৈরির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রাথমিকভাবে জরিমানা করা হচ্ছে। ২০১২ সালের পরিবেশ দূষণকারী সনাতন পদ্ধতির ফিক্সড চিমনি ইটভাটায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনসিসিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান