পাবনার ঈশ্বরদীতে মাদক সেবনে বাধা দেয়া নিয়ে বিরোধের জেরে এক যুবককে সারারাত বেধে রেখে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী নেয়ার পথে বিপ্লব মারা যান।
এর আগে শুক্রবার রাতে উপজেলার জিগাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে তাকে নির্যাতন করা হয় বলে জানা গেছে।
নিহত বিপ্লব ফকির (২৪) উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের চররুপপুর জিগাতলা গ্রামের পান্না ফকিরের ছেলে।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
এই ঘটনায় জড়িত প্রধান অভিযুক্ত শান্ত ফকির (২৩) একই এলাকার পলাশ ফকিরের ছেলে।
পরিবারের বরা রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম জানান, নিহত বিপ্লবের চাচা রতন আলীর সাথে বেশ কিছুদিন আগে প্রতিবেশি শান্ত ফকিরের সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং রতন শান্তকে চড় থাপ্পড় মারেন। সে সময়ই শান্ত বিপ্লব ও রতনকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।
তিনি জানান, শুক্রবার রাত ৯টায় শান্ত ও তার ভাই অন্তর কৌশলে মোবাইল ফোনে বিপ্লবকে ডেকে নেয়। এরপর পার্শ্ববর্তী জিগাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে নিয়ে তাকে মুখ বেধে রেখে সারারাত মারধরসহ নির্যাতন চালায়। রাতে পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করেও বিপ্লবকে খুঁজে পায়নি।
আরও পড়ুন: বরিশালে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে রোগী হত্যার অভিযোগ
শনিবার সকাল ৮টার দিকে প্রতিবেশির মাধ্যমে খবর পেয়ে স্কুলের ছাদ থেকে বিপ্লবকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
বিপ্লবের শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
নিহত বিপ্লবের বাবা পান্না ফকিরের অভিযোগ, আমার ভাই রতন ও ছেলে বিপ্লব অভিযুক্ত শান্ত ও তার কয়েক বন্ধুকে মাদক সেবনে বাধা দিয়েছিল। সে কারণে শান্ত তাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।
আরও পড়ুন: মাত্র ৫ টাকার জন্য অটো চালককে হত্যার অভিযোগ
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘খবর পেয়ে নিহত বিপ্লবের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। খুনের বিষয়ে পুলিশ খতিয়ে দেখছে এবং এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’