মঙ্গলবার রাতে এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, বুধবারের মধ্যে জেলার পলাতক প্রবাসীরা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ না করলে তাদের পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের তথ্যমতে, গত ১ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে বিমানবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে মানিকগঞ্জে এসেছেন মোট ২ হাজার ৭শ জন প্রবাসী। এর মধ্যে ৮ মার্চ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে এসেছেন ১ হাজার ৩৮৮ জন। বুধবার পর্যন্ত মানিকগঞ্জে মোট হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় এসেছে ৭৯২ জন। একই সময়ে ১৪দিন পার হওয়ায় হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে অবমুক্ত হয়েছে ২৯৩জন। মঙ্গলবার পর্যন্ত বাকি ৪৯৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। কিন্তু অবশিষ্ট বিপুল সংখ্যক প্রবাসীদের নিজ নিজ ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। তাদের খুঁজতে মাঠে কাজ করছেন প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, মানিকগঞ্জের বিদেশফেরত এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে না থেকে বাইরে ঘোরাঘুরির অভিযোগে ১০ জনকে বিভিন্ন অংকে জরিমানা করা হয়েছে। আর যাদের নিজ নিজ ঠিকানায় খুঁজে পাওয়া যায়নি তাদের বের করতে প্রশাসন মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। জেলা থেকে শুরু করে প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রশাসনের নজরদারি করেও তাদের না পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে তারা আত্মগোপন করে রয়েছেন।
তিনি জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সারাদেশেই হোম কোয়ারেন্টাইনসহ নানা কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে, মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। যেসব প্রবাসী আত্মগোপন করে রয়েছেন, তারা বুধবারের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ধরা না দিলে কিংবা যোগাযোগ না করলে তাদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে।
এদিকে করোনা সংকট মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনকে সহায়তার জন্য মানিকগঞ্জে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী।
গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঙ্গলবার থেকে শপিংমল, বানিজ্যকেন্দ্র, রেস্টুরেন্ট, বিনোদন পার্ক, মেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, সাপ্তাহিক হাট, চায়ের দোকানের আড্ডাসহ জনসমাগম হয় এমন সকল স্থান পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সকল ক্ষুদ্র ঋণ আদায় কার্যক্রমও পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
তবে খাদ্য সামগ্রী, ঔষধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সকল দোকানপাট কাঁচা বাজার, চিকিৎসা ব্যবস্থা যথারীতি খোলা থাকবে। ওইসব স্থানে ১ মিটার পর্যন্ত নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মাইকিং করে নির্দেশ জারির পর পর শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে।