গত ২৪ ঘণ্টায় মানিকগঞ্জে ৪১০টি নমুনা পরীক্ষায় ২০৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। একই সময়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন ও উপসর্গ নিয়ে দুজন মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, নতুন আক্রান্ত ২০৩ জনের মধ্যে সিংগাইরে ৬৮ জন, মানিকগঞ্জ সদরে ৪৬ জন, সাটুরিয়ায় ৩৬ জন, শিবালয়ে ২৭ জন, হরিরামপুরে ১২ জন, ঘিওরে সাত জন এবং দৌলতপুর উপজেলার সাত জন আছেন।
পড়ুন: খুলনা বিভাগে করোনায় আরও ৪১ মৃত্যু
তিনি জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ৩০ হাজার ৫৮১টি নমুনা পরীক্ষা করে চার হাজার ৭২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৯৯২ জন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৭৫ জন।
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাজী এ কে এম রাসেল বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিন জন। তাদের মধ্যে করোনায় এক জন এবং উপসর্গ নিয়ে দুজন মারা গেছেন। আজ দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৩০ জন। এর মধ্যে পজিটিভ ৯০ জন এবং আইসোলেশনে আছেন ১৪০ জন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মানিকগঞ্জে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ছয় দিনে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭৯ জন। ২৩ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ জন, ২৪ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ১০৮ জন, ২৫ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৯ জন, ২৬ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ১৭০ জন এবং ২৭ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ১৯২ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হলেন ২০৩ জন।
পড়ুন: কঠোর লকডাউন: ঢাকার রাস্তায় মানুষ ও যানবাহন বেড়েছে
করোনাতেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নের হার ৯৮ শতাংশ
এদিকে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও মানিকগঞ্জে মানুষের চলাচল বেড়েছে । নানান অযুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছে মানুষ। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধ মানাতে জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে ১৪টি ভ্রাম্যমান আদালত কাজ করছে জেলার বিভিন্ন স্থানে। এরপরও মানুষকে মানানো যাচ্ছে না। নানান অযুহাত দেখিয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে মানুষ।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট দিয়ে অনায়াসে যাত্রীরা ঢাকায় যাতায়াত করছে। ফেরিতে গাদাগাদি করে এসে পাটুরিয়াঘাটে নামছে যাত্রী ও বহু মোটরসাইকেল। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা থেকে আসা এসব মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ বলেন, কঠোর বিধিনিষেধ মান্য করাতে জেলায় পুলিশ, র্যা ব ও বিজিবির সমন্বয়ে ১৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। ফেরিঘাট এলাকায়ও শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন জরিমানাও করা হচ্ছে।