মারধর ও ছাঁটাইয়ের অভিযোগে বরিশালের সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের কয়েকশ’ শ্রমিক ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল ১০টায় পুলিশ শ্রমিকদের দাবি নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা বিক্ষোভ বন্ধ করেন।
আরও পড়ুন: নাদিয়ার মৃত্যু: বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে শ্রমিকরা বরিশাল নগরের রুপাতলী এলাকার সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পর ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা। ফলে মহাসড়কের দুইপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী ও বিক্ষুব্ধরা জানান, সোমবার (২০ মার্চ) কারখানার ফ্লোরে দুই শ্রমিকের মধ্যে ঝামেলা হয়। এরপর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) তাদের ডেকে নেন। তবে তিনি কারও কথা না শুনে শ্রমিকদের মারধর করেন এবং দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখেন। পরে তাদের কার্ড জব্দ করে সামান্য কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে চাকুরিচ্যুত করে ফ্যাক্টরি থেকে বের করে দেন। বিষয়টি সবাই জানতে পেরে রাতেই ফ্যাক্টরির ভেতরে বিক্ষোভ করে। তবে জিএম কোনও সমাধান না দিয়ে চলে যান। এরপর মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শ্রমিকরা একত্র হয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে।
এসময় তারা অন্যায়ভাবে দুই শ্রমিককে মারধর ও চাকরি থেকে ছাঁটাই করার প্রতিবাদ জানায়।
একই সঙ্গে ওই ঘটনার সঠিক বিচার না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক।
তবে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ স্বীকার করলেও, মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানটির জিএম শামীম সরকার।
অন্যদিকে, প্রায় এক ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধের পর পুলিশের আশ্বাসে শ্রমিকরা আন্দোলন থেকে সরে আসায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আলী আশরাফ ভূঁঞা জানান, এ ঘটনায় বিচারের পাশাপাশি শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ