দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর মোংলার উন্নয়নে বর্তমান সরকাররের অগ্রাধিকার ভিত্তিক ১৫ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। গত ১২ বছরে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের মোট ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৩৭২ কোটি ৬৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
প্রকল্পের সংখ্যা (জিওবি অর্থায়নে) এবং বরাদ্দে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মোংলা বন্দর। বন্দরের কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং এর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোংলা বন্দরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ‘যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে মোট ৭৫ টি ইকুইপমেন্ট কেনা হয়েছে যা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা প্রধান মো. জহিরুল হক জানান, ২০০৯ সালের মে মাস থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ে মোংলা বন্দরের উন্নয়নে এক হাজার ৩৭২ কোটি ৬৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা ব্যয়ে মোট ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বন্দরে ৯ দশমিক ৫ থেকে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের জন্য আউটার বারে ড্রেজিং কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং ইনার বারে ২৩ কিলোমিটার ড্রেজিং কাজ চলমান।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে মেট্টোরেলের সপ্তম চালান
আউটারবারে ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন হওয়ায় মোংলা বন্দরের অ্যাংকোরেজে ইতোমধ্যে ৯ মিটারের অধিক ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডেল করা হচ্ছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে সারাদেশে যখন ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল তখন মোংলা বন্দরে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৯৭০টি জাহাজ, ১১৯ দশমিক ৪৫ লাখ মেট্রিকটন কার্গো, ৪৩ হাজার ৯৫৯ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডেল এবং ৩৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে, যা বন্দরের ৭০ বছরের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
তিনি আরও বলেন, বন্দর কেন্দ্রিক অন্যান্য অবকাঠামোসহ পদ্মা সেতু নির্মিত হলে রাজধানী ঢাকার সাথে মোংলা বন্দরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ফলে বন্দরের ব্যবহার বহুগুনে বেড়ে যাবে। এ বিবেচনায় ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য মোংলা বন্দরকে আরও সক্ষম করে তোলার প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনে রেকর্ড সৃষ্টি