রাজশাহীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর বোয়ালিয়া থানার আহমদনগর এবং জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার বাঁশলীতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-তানোর উপজেলার বিল্লি বাজারের বাসিন্দা ও পেশায় গ্রাম্য চিকিৎসক নাজমুল ইসলাম (২৯) এবং দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে সাজু মিয়া (৩২), তিনি নগরীর গোদাগাড়ীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন, তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল আলিফ (৭)।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল প্রবাসীর
স্থানীয়রা জানান, সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে শহরে ঢুকছিলেন নাজমুল। এসময় একটি বাস তার মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নাজমুল নিহত হন।
এব্যাপারে বোয়ালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মোটরসাইকেল ও তার পাশে ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকা দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর পাঠায়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। নিহতের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান জানান, সকাল ৯টার দিকে ছেলে আলিফকে স্কুলে দিতে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পথে উপজেলার বাঁশলীতলা এলাকায় রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে পৌঁছালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী বিআরটিসির একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাজু মিয়ার মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবা-ছেলে নিহত হন।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ স্কুলছাত্র নিহত
ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ব্যারিকেড দিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে সড়কের দু’পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি কামরুল হাসান।