রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে হত্যার পরে বস্তাবন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠেছে আরেক শিশুর বিরুদ্ধে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রতিবেশির বাড়ি থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত সুমাইয়া মাহি (৩) উপজেলার আলোকছত্র গ্রামের মিলন খানের মেয়ে।
অভিযুক্ত হিযবুল্লাহ আব্বাস মিম (১২) একই এলাকার মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে ও সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে বিরোধের জেরে শিশু হত্যা: ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নিহত শিশুর পরিবার জানায়, বুধবার সকাল থেকে মাহি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। অভিযুক্ত মিম নিহত মাহিকে বাসায় নিয়ে গিয়ে আনুমানিক বেলা ১১ টার দিকে হত্যা করে ওই বাসার মধ্যেই লাশ বস্তাবন্দি করে লুকিয়ে রাখে। হিযবুল্লাহ আব্বাসের মা জাহানারা বেগম একজন স্কুল শিক্ষিকা। তিনি বিকালে বাসায় আসলে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পেয়ে সেটিকে লুকানোর চেষ্টা করে। এরই মাঝে নিহতের ভাই,বাবা ও গ্রামের লোকজন তার বাসায় খুঁজতে গেলে বিষয়টি জানতে পারে। পরে পুলিশকে খবর দিলে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ হিযবুল্লাহ আব্বাসের বাড়ির থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে ও অভিযুক্ত হিযবুল্লাহ আব্বাস মিমকে আটক করে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় নিহত মাহি খাতুনের গলায় তার দিয়ে বাঁধা ছিলো। এছাড়াও চাকু দিয়ে দুই পায়ের রগ কাটা হয়। হত্যায় ব্যবহৃত চাকুটি লুকিয়ে রাখা হয় তবে পুলিশ তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
তিনি জানান, অভিযুক্ত হিযবুল্লাহ আব্বাস মিম হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তাকে আটক করা হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় শিশু হত্যা: এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল, ২ জন খালাস
সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু হত্যা মামলায় চাচাসহ ২ জনের যাবজ্জীবন