রাজশাহীর বাঘায় স্ত্রী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার চক আমোদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুকুর পাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আলম আস্তুল (৫৭) চক আমোদপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব প্রামাণিকের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে চাতাল ঘর থেকে ট্রাকচালকের লাশ উদ্ধার
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে আজিজুল আলম আস্তুল তার স্ত্রী পারুল বেগমকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এই হত্যা মামলায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। করোনাকালীন সময়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সরকার বিশেষ ব্যবস্থাপনায় মুক্তি দেয়।
সে সময় তিনি মুক্তি পেয়ে বছর দুয়েক আগে বাড়িতে আসেন। তারপর তিনি পাগলের মতো এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতেন এবং মানুষের কাছে টাকা-পয়সা চাইতে শুরু করেন। চক্ষু লজ্জায় একপর্যায়ে দুই ছেলে ফারুক হোসেন ও সনি হোসেনকে বাড়িতে আটকে রাখেন। মাসখানেক আগে ঘরের জানালা ভেঙ্গে আলম আস্তুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। তারপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।
শুক্রবার সকালে একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে খায়রুল ইসলাম পুকুরের পাড় দিয়ে যাওয়ার পথে তার লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে।
পরে স্থানীয়রা গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এছাড়া বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর পুকুর পাড়ে আম গাছের নিচে তিনি থাকতেন বলে জানা গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় আজিজুল আলম আস্তুলের বড় ছেলে ফারুক হোসেন বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি ইউডি মামলা করেন।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, লাশের মাথা, মুখ, চোখ, গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ণ রয়েছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। এছাড়া তার ছেলে সনি হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণ: নিখোঁজ কাশেমের লাশ উদ্ধার