বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝে চাপা খেয়ে রিনা আক্তার নামে (২৯) এক নারীর পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার উলানিয়া কালীগঞ্জ লঞ্চঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
পরে সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠিয়েছে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের চিকিৎসকরা।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, যতটুকু জেনেছি রিনা আক্তারকে প্রথমে উদ্ধার করে রবিবার রাতেই মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে থেকে রাতেই শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তবে এখন তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চ-বাল্কহেড সংঘর্ষে নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা খোঁজ খবর রাখছি। তবে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে থানার উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, আহত রিনা আক্তার তার মা ফাতেমা বেগমকে ঢাকাগামী লঞ্চে উঠিয়ে দিতে লঞ্চঘাটে গিয়েছিলেন। এমভি ফারহান-৪ লঞ্চটি ঘাটে ভিড়লে রিনা আক্তার তার মা ফাতেমা বেগমকে নিয়ে লঞ্চে উঠছিলেন।
এসময় লঞ্চ ও পল্টুনের মাঝে চাপা লেগে বাম পা গুরুতর জখম হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণের পাশাপাশি হাটুর নিচের অংশ চামড়ার সঙ্গে ঝুলছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তার পায়ের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তাকে এখানে রাখা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, রিনা আক্তারের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি এই ঘটনায় লঞ্চ চালক, মাস্টার বা স্টাফদের কোনো ধরনের গাফলতি কিংবা অবহেলা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, রবিবার রাত ১১টার দিকে হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়েছিল রিনা বেগমকে। ক্ষতিগ্রস্ত পায়ের হাটুর নিচে থেকে হাড় গুড়োগুড়ো হয়ে গেছে।
তারপরও পা না কেটে সবকিছু ম্যানেজ করে ব্যাক স্লাব দিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চ ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে কমল ১৫ পয়সা