শেরপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহত রূপা আক্তার (২২) একই এলাকার নুর শাহীনের স্ত্রী ও ঝিনাইগাতী আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের বিএ পরীক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ভুট্টাখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৩ বছর আগে শাহীনের সঙ্গে রূপা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই রূপার ওপর নেমে আসে স্বামী-শ্বাশুড়িসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। রূপার স্বামী নুর শাহীন একজন অটোরিকশা চালক। সংসারের হাল ধরতে রূপা নিজেও শ্রমিকের কাজ করতো। পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছিল।
এদিকে, শুক্রবার সকালে গৃহবধূ রূপার একটি ছাগল শাশুড়ি নুরেজা বেগমের কাঁঠাল গাছের একটি চারা খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে বউ-শ্বাশুড়ির মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে অভিমানে রূপা আক্তার ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দেয়। খবর পেয়ে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে লেপে মোড়ানো নারী-শিশুর লাশ উদ্ধার
তবে নিহত রূপার বাবা আব্দুল ওয়াহাবের দাবি, রূপা আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. সরোয়ার হোসেন জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। লাশের শরীরে আঘাত বা অন্য কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।