প্রথম দুই কিস্তিতে সরকারকে দেওয়া ৩১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ টাকার চেক গ্রহণ করেন।
বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই চেক হস্তান্তর করেন।
অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে এই ঋণ নেওয়া হয়।
২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা নদীর ওপর দেশের সর্ববৃহৎ ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলাকে রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে এবং এটি জিডিপি প্রবৃদ্ধি এক দশমিক ২৩ শতাংশ ত্বরান্বিত করবে এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মোট বরাদ্দ ছিল ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। তবে মূল সেতুর জন্য বরাদ্দ ছিল ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা (৪০০ কিলোভোল্ট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও গ্যাস লাইন স্থাপনের জন্য এক হাজার কোটি টাকাসহ)।
এ ছাড়া নদী প্রশিক্ষণ কাজের জন্য ৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, অ্যাপ্রোচ রোড (দুটি টোল প্লাজাসহ থানা ও তিনটি সার্ভিস এলাকার জন্য দুটি ভবন নির্মাণ), বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসনে (প্রকল্পের কারণে সৃষ্ট) এক হাজার ৫১৫ কোটি টাকা এবং ভূমি অধিগ্রহণে দুই হাজার ৬৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতু ১০০ বছরের বেশি স্থায়ী হবে বলে আশা করা হলেও আগামী ৩৫ বছরের মধ্যে এর নির্মাণ ব্যয় পুনরুদ্ধার করা হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়ের গতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান