রবিবার ভোর রাতে যশোর শহরের পুরাতন কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও মণিহার চত্বর থেকে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার সদাইপুর গ্রামের গোলাম রসুল (৫৬), একই গ্রামের মোহাম্মদ তৌহিদ (৩৮), মোহাম্মদ রাব্বি (২৫), হিমো (২৪), আনারুল ইসলাম (৪৮), সিরাজুল ইসলাম (৪৯), আব্দুস সালাম (৪৫), মোস্তাকিম মোল্লা (২৪), আব্দুল করিম (৫২), মোস্তাকিম হোসেন(২৫), সাইফুল ইসলাম (৪২), সুজন (২০), নূর ইসলাম মোল্লা (৪৮) ও মোহাম্মদ নূরুজ্জামান (৪৮)।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান জানান, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি সাতক্ষীরা জেলার গদাইপুর গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ঘের দখল করতে যান একই উপজেলার হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম ও তার লোকজন। এসময় এলাকায় বেশ কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে।
ঘেরের মালিক মঞ্জুরুল ইসলামসহ তার কর্মচারীদের ব্যাপক মারপিটও করা হয়। বিষয়টি সাতক্ষীরা জেলাসহ দেশব্যাপী আলোচনায় আসে।
পরে ঘেরের মালিক মঞ্জুরুল ইসলাম আশাশুনি থানায় চাঁদাবাজি, বিস্ফোরণ ও ঘের দখলের অভিযোগ এনে মামলা করেন। গ্রেপ্তার আসামিরা ওই মামলার আসামি।
এসআই হাসানুজ্জামান জানান, পুলিশের কাছে গোপন খবর ছিল যে ওই ১৪ জন যশোর মণিহার চত্বর এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছে। শনিবার রাতেই তারা স্থান ত্যাগ করবে। এসময় সাতক্ষীরা পুলিশ যশোর পুলিশের সহযোগিতা চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানী স্যারের তত্ত্বাবধানে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালিত হয় এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।