একই সাথে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকেও সাত দিনের রিমান্ড আদেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে, মঙ্গলবার মামলার আসামি এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন ও কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করেছিল র্যাব।
এ চার পুলিশ সদস্যকে কক্সবাজার জেলা কারাগার ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত। তাদের সেই জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন করেছে র্যাব।
তবে টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির প্রত্যাহার হওয়া ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার প্রত্যাহার হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে সাত দিনের রিমান্ড দেয়া হলেও এখনও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেনি র্যাব।
মঙ্গলবার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিচবুনিয়া এলাকা থেকে পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন মো. নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াছ। আদালত এ তিনজনসহ আজ সাতজনের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
গত ৩১ জুলাই বাহারছড়া পুলিশ চেকপোস্টে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহাকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে বলে অভিযোগ এনে ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ পুলিশের নয় সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এরপর আদালতে গত ৬ আগস্ট নয় আসামির মধ্যে দুজন ছাড়া ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ সাতজন আত্মসমর্পণ করেন।