সিলেটে বিয়ের কেনাকাটার কথা বলে সিএনজি অটোরিকশায় এক যুবতীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার এ ঘটনায় যুবতী নিজে জালালাবাদ থানায় মামলা (নং-১০) দায়ের করেন। একই দিন আটক আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার রাত ১০ টার দিকে সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন কান্দিগাঁও ইউনিয়নের নীলগাঁও পুঁটিকাটা ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা: প্রধান আসামি নাসির গ্রেপ্তার
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া শাখা জানায়, ঘটনার ৩ দিন আগে জালালাবাদ থানার ইসলামপুর মানসিনগর গ্রামের কাপ্তান মিয়ার ছেলে তাজ উদ্দিনের (২২) মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় ওই যুবতীর (৩১)। পরে সেই যুবতীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাজ উদ্দিন সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বিয়ের কেনাকাটা করবে বলে বাড়ি থেকে বের হতে বলেন। তাজ উদ্দিনের কথা মতো ওই যুবতী বাড়ি থেকে বের হয়ে তাজ উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন। পরে তাজ উদ্দিন ওই যুবতীকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে জালালাবাদ থানাধীন কান্দিগাঁও ইউনিয়নের নীলগাঁও পুঁটিকাটা ব্রিজে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণে’ ব্যর্থ হয়ে শিশুর হাড় ভেঙে দেয়ার অভিযোগ
সেখানে অটোরিকশার ভেতরেই যুবতীকে ধর্ষণ করেন তাজ উদ্দিন। এসময় তাজ উদ্দিনের দুই সহযোগী জালালাবাদ থানার ইসলামপুর মানসিনগর গ্রামের রজন মিয়ার ছেলে এখলাছুর রহমান (২৭) ও একই থানার নলকট গ্রামের ফুল মিয়াও (২৭) ওই যুবতীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগের পর সাংবাদিকদের যা বললেন পরীমণি
তিনি আরও জানান, ধর্ষণের পরে অভিযুক্তরা অটোরিকশাযোগে যুবতীকে সিলেট নগরীর দিকে নিয়ে আসতে থাকে। এসময় ওই যুবতীর কান্না শুনে নীলগাঁওয়ের স্থানীয়রা সিএনজি অটোরিকশা আটকে যুবতীর মুখ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনে তাজ উদ্দিন ও এখলাছুর রহমানকে আটক করেন। তবে অটোরিকশা চালক ফুল মিয়া পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয়রা জালালাবাদ থানায় খবর দিলে এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে এবং তাজ উদ্দিন ও এখলাছুর রহমানকে আটক করে।
ভুক্তভোগীকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিসি সেন্টারে পাঠায় পুলিশ।