সিলেটে ছাত্রদলের মিছিল থেকে আটক হওয়া আট জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
হযরত শাহজালাল (রহঃ) মাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাজী জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটের ৩ রেস্টুরেন্টে দুর্বৃত্তের হামলা, ভাঙচুর
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ উশৃঙ্খল নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া ২নং আসামির নেতৃত্বে মঙ্গলবার বিকালে নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
এ সময় সরকার বিরোধী উস্কানিমূলক স্লোগান দিচ্ছিলেন তারা।
ঘটনার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের শান্ত হওয়ার জন্য বললে তারা উত্তেজিত হয়ে সকারি গাড়িতে বাধা দেয় এবং হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
আসামিদের ছুড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে এএসআই প্রানেশ রঞ্জন, আবুল কালাম শুভ, ইসমাইল হোসেন, মোজাহিদ আহত হন।
তখন পুলিশ উশৃঙ্খল বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটজনকে আটক করা হয় এবং অপরাপর আসামীরা পালিয়ে যায়।
আলামত হিসেবে সেখান থেকে ১৮টি বাঁশের লাঠি ও ১৫ ইটের টুকরো জব্দ করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন-গোয়ালাবাজার ইউপি ছাত্রদলের সদস্য জুনায়েদ হোসাইন (৩০), মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন (৩৪), সিলেট সদর উপজেলা যুব দলের সদস্য রাজু , অভিনেতা আহমেদ (৩৮),কামরুল হাসান (২৫), সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক মো.আব্দুস সালাম টিপু (৩৮), পারভেজ খান জুয়েল (৩৯), সাইফুল ইসলাম সোহাগ (২০), মো.হাফিজুর (২৫)।
এর আগে মঙ্গলবার (২ মে) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় ছাত্রদলের একটি মিছিল থেকে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চ্যালেঞ্জ নেই: সিলেটে আইজিপি