সিলেটের গোয়াইনঘাটে দুই নারীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মখলিছ (৫৫) নামের ওই আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ এবং তার স্ত্রী রাহেলা বেগম (৪৮) কে তিন বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মখলিছ গোয়াইনঘাট উপজেলার পাংথুমাই গ্রামের আছকর আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল
সিলেটের গোয়াইনঘাটের মালেকা বেগম (৫০) ও হাসিনা বেগম (৪৫) নামে দুই নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মখলিছ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে মামলা হয়। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার এই মামলার রায় হয়।
সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালত ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জুলহাজ তনয় হত্যা: ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
তিনি জানান, ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল গোয়ইনঘাট উপজেলার পিয়াইন নদীর তীরে মুর্তা বেতের বাগানের জায়গার বিরোধ নিয়ে উপজেলার পাংথুমাই গ্রামের জমসু মিয়ার স্ত্রী মালেকা বেগম (৫০) ও আজির উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বেগমকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মখলিছ। এসময় তাকে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী রাহেলা বেগম।
তিনি বলেন, এই মামলার রায়ে বৃহস্পতিবার মখলিছকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করা হয়। এছাড়া তার স্ত্রী রাহেলা বেগমকে তিন বছরের কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। উল্লেখ্য জরিমানা না দিলে তাকে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
আদালত সূত্র জানায়, মালেকা বেগম ও হাসিনা বেগমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহত হাসিনা বেগমের ছেলে আব্দুস সবুর চারজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোয়াইনঘাট থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক মশিউর রহমান ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দেন। তদন্তে অপর দুইজনের সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।