চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে দুই দিনে আরও দুই রোহিঙ্গা শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে সীতাকুণ্ড ও গতকাল ভাসানচর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সীতাকুণ্ড ও নোয়াখালী পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের পশ্চিম সৈয়দপুর সাগর উপকূলে কেওড়াবনে পড়ে থাকা অবস্থায় অজ্ঞাত এক ছেলে শিশুর (৮) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশটি কোস্টগার্ডকে হস্তান্তর করেছে। লাশটি ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানায় কোস্টগার্ড। এর আগে গতকাল ভাসানচরে থেকেও ইমাম হোসেন (১১) নামে এক রোহিঙ্গা শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে নোয়াখালী পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ সাগরে নৌকাডুবি: ১১ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, স্থানীয় এলাকাবাসী কেওড়া বাগানে একটি শিশুর লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। অজ্ঞাত শিশুর লাশ আমরা উদ্ধার করে কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছি।
এর আগে গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সৈকত থেকে ১২/১৩ বছর বয়সী রোহিঙ্গা কন্যা শিশুর লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
কোস্টগার্ড জানায়, গত ১৩ আগস্ট (শুক্রবার) নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নৌকাযোগে পালানোর সময় ৪১ জন রোহিঙ্গা যাত্রীবোঝাই একটি নৌকা সাগরে ডুবে যায়। এ নিয়ে মোট ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কক্সবাজারে ৩৪ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টিকা দেয়া শুরু
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম জানান, নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে ময়না তদন্ত ছাড়া বিভিন্ন দফায় ১৩জন রোহিঙ্গার লাশের পরিচয় সনাক্ত শেষে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ক্যাম্প ইনচার্জ সহকারী কমিশনার শামীমা আক্তার জাহান জানান, ১৩ আগস্ট নৌকা ডুবির ঘটনায় মঙ্গলবার দিনব্যাপী উদ্ধার অভিযানে সাগর থেকে ৭জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, চার দিনের অভিযানে প্রথম দিনে একটিটি ও দ্বিতীয় দিনে তিনটি, তৃতীয় দিনে একটি ও চতুর্থ দিনে একটি লাশ উদ্ধার এবং সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার ভাসানচর ক্যাম্পের ৬১নং ক্লাস্টারের ফজল আহমদের ছেলে ইমাম হোসেন (১১) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছে আরও অন্তত ১৩/১৪ জন রোহিঙ্গা। উদ্ধার করা লাশ ভাসানচর ক্যাম্পের কবরস্থানে দাফন করা হয়।