মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ১০ জেলেকে উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
রবিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলের দিকে বনবিভাগের পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন চুনকুড়ি নদীর তক্কাখালী এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
এ সময় বনদস্যুদের সঙ্গে বনবিভাগের সদস্যদের গুলি বিনিময় হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে বনদস্যুদের ফেলা যওয়া তিনটি নৌকা, একটি সোলার প্যানেল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর জেলেদের রাতে বুড়িগোয়ালিনি স্টেশনে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘ বেড়েছে ১১টি
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন-সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর চুনকুড়ি এলাকার আব্দুল আলিম, একই এলাকার নুর ইসলাম, রবিউল ইসলাম, ছোট ভেটখালী এলাকার হাফিজুর রহমান, একই এলাকার রাজু ফকির, শফিকুল ইসলাম, নুরনগর ইউনিয়নের দুরমুজখালী এলাকার রফিকুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর এলাকার মফিজুর, একই এলাকার মুছাক সানা ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের বড় ভেটখালী এলাকার নজরুল ইসলাম।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, তাদের বিভিন্ন সময় সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিপণের দাবিতে বনদস্যু মঞ্জুর বাহিনী সদস্যর অপহরণ করে। এই বাহিনীর প্রধান হিসেবে মঞ্জুর নিজেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
কদমতলা ফরেস্ট স্টেশনের এসও সোলায়মান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুন্দরবনের চুনকুড়ি নদীর তক্কাখালী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় বনদস্যু বাহিনীর সদস্যরা বনবিভাগের সদস্যদের লক্ষ করে গুলি ছোড়ে।
জবাবে বনবিভাগের সদস্যরাও পাল্টা ৫ রাইন্ড গুলি ছোড়ে। একপর্যায় প্রতিরোধের মুখে বনদস্যুরা জিম্মি করে রাখা জেলেদের রেখে বনের মধ্যে পালিয়ে যায়।
এ সময় বনদস্যুদের একটি আস্তানা ধ্বংস করে দেওয়া হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে অপহৃত ১০ জেলে, তিনটি নৌকা, একটি সোলার প্যানেল, ১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে বন্যপ্রাণীর লোকালয়ে প্রবেশ ঠেকাতে নাইলনের বেড়া