আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ২ পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার
গত ১৯ জানুয়ারি কে বা কারা শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কলবাড়ির বিপরীতে একটি বাঘকে গহীন জঙ্গলের একটি খাল ভাটা পার হতে দেখে তা ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেন এবং মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকেই সুন্দরবনের জনপদগুলিতে বাঘ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বাঘের চামড়াসহ ‘শিকারি’ আটক
এদিকে, বন বিভাগ পুরো এলাকায় মাইকিং করে বাঘের আনাগোনার কথা জানিয়ে গ্রামবাসীকে সতর্ক করে দেয়। এর ফলে এ এলাকায় মানুষ নিজেদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ বাজার, হরিনগর বাজার, কলবাড়ি বাজারসহ আশপাশের সব বাজারঘাটে ভিড় কমে যায়। ব্যবসায়ীরাও সতর্ক হয়ে যান। এমন কি বনজীবীরাও নৌকায় ও জঙ্গলে সতর্কতার সাথে চলাফেরা করতে শুরু করেন। সন্ধ্যার পর কোনো কারণে বের হতে হলে গ্রামবাসী হাতে লাঠি ও টর্চলাইট এমনকি হুইসেল নিয়ে কয়েকজন একসাথে চলফেরা করতে শুরু করেন। তবে গ্রামবাসী বলছেন কয়েক বছর আগে এ এলাকায় বাঘ দেখা গিয়েছিল। এবার এখন পর্যন্ত কোনো বাঘ তাদের নজরে আসেনি বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: বাঘের পায়ের ছাপে আতঙ্কে শরণখোলার গ্রামবাসী
শ্যামনগরের সুন্দরবন সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ এলাকার মনসুর গাজী জানান, প্রায় ৯ বছর পরে লোকালয়ের কাছাকাছি বাঘের দেখা মিলেছে। ৯ বছর আগে মুন্সিগঞ্জ এলাকায় প্রায় বাঘ দেখা যেতো। সে সময় সুন্দরবনের বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ করে কয়েক জন মানুষকে আক্রমণ করে। একাধিক পশু মেরে ফেলে। সেই সময় থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় বাঘ আতঙ্ক শুরু হয়। ফেসবুকে বাঘের আগমন বার্তা শুনে আবারও এই জনপদে বাঘ আতঙ্ক শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরবনের কদমতলি ফরেস্ট স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন টিমের মাধ্যমে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করেছি। এখনও করে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বাঘ আতঙ্ক শেষে পঞ্চগড়ে বনবিড়াল আটক
তবে তিনি বলেন, ‘বাঘের খাল পারাপারের যে ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছে সেটি বেশ আগের কোনো এক সময়ের। এটি সাম্প্রতিক কেনো ভিডিও নয়। তাছাড়া বাঘ সচরাচর শীত মৌসুমে পানিতে নামে না। আরও কিছুদিন পর প্রজননের সময় এলে শিকার ও মিষ্টি পানির খোঁজে বাঘ বনভূমি থেকে জনপদে এসে থাকে।’
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কমছে বাঘের সংখ্যা, ২০ বছরে মারা গেছে ৩৮টি