হবিগঞ্জে একদিনে দুই নারী ও এক শিশুসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার লাশগুলো উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্যে আছিয়া খাতুন নামে এক নারীর রক্তাক্ত লাশ মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়। ফুল জাহান বেগম নামে অপর আরেক নারীর লাশ পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়াও বানিয়াচং উপজেলায় একটি ব্রীজের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আড়াই বছরের এক অজ্ঞাত শিশুর লাশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাবা-ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, মঙ্গলবার সকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার চানপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী খেলার মাঠে আছিয়া খাতুনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি তাৎক্ষণিক সদর থানা পুলিশকে অবগত করা হলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
ওসি আরও জানান, ভোরে হয়তো ওই নারীকে খুন করা হয়। নারীর লাশেহের পাশে রক্ত ও তার গায়ে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃত নারী আছিয়া খাতুন চানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত নারীর ছেলে আব্দুল মজিদকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে জেলার লাখাই উপজেলার জিরুন্ডা গ্রামে একটি পুকুর থেকে ফুল জাহান বেগম নামে এক নারীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারী জিরুন্ডা গ্রামের মৃত আলী আহমদের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বন্ধ ঘর থেকে মা-বাবা-মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
অপরদিকে, জেলার বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা গ্রামের পশ্চিম ব্রিজের নিচ থেকে আড়াই বছরের অজ্ঞাত এক কন্যা শিশুর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কাগাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এরশাদ আলী বলেন, স্থানীয় এক কৃষক প্রথমে ওই শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়। পরে আমি বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
তবে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত শিশুটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দোলোয়ার হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে।