নবীগঞ্জে বাস চলাচলে প্রশাসনের বাধা দেয়ার প্রতিবাদ ও অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবিতে হবিগঞ্জের সকল সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
শুক্রবার সকাল থেকে সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
বাস বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ২ দিনের বাস ধর্মঘটে দুর্ভোগে যাত্রীরা
জানা গেছে,ধর্মঘট চলাকালে জেলার অভ্যন্তরীণ ৯টি রুটসহ রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সকল প্রকার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পৌর বাস টার্মিনাল থেকে কোন বাস ছেড়ে যায়নি। জেলার অভ্যন্তরীণ ৯টি রুটে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ বাস চলাচল করে।
রুট গুলো হচ্ছে- হবিগঞ্জ-সিলেট, হবিগঞ্জ- শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ-চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ–মাধবপুর, হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ- আউশকান্দি, হবিগঞ্জ- বাহুবল, হবিগঞ্জ- মৌলভীবাজার- সিলেট ও হবিগঞ্জ ভায়া চুনরুঘাট-মাধবপুর।
এছাড়াও, হবিগঞ্জ-ঢাকা পৃথক বাস সার্ভিস রয়েছে। ধর্মঘট চলাকালে দুরপাল্লার যাত্রীরাসহ অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে টার্মিনালে এসে বাস না পেয়ে ফিরে যান। অনেকের জরুরি প্রয়োজন থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা ও হালকা যানবাহনে করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে গন্তব্যে পৌঁছেছেন।
আজ সরকারি ছুটি থাকায় তাদের চাকুরীজীবীদের তেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি।
হবিগঞ্জ বাস টার্মিনালে আসা যাত্রী ক্ষুদে কাপড় ব্যবসায়ী সুবোধ চন্দ্র দাস জানান, ব্যবসার মাল আনার জন্য ঢাকা যেতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু কোনও বাস পাননি। নিয়মিতভাবে তিনি শুক্র শনিবার ঢাকায় মালামাল ক্রয় করেন। আগামী সপ্তাহেও মাল আনতে পারবেন কি না তা নিশ্চিত নয়।
সিলেট এর ছাত্র নাজমুল হুদা জানান, তার গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস রয়েছে কিন্ত যেতে পাড়ছেন না।
হবিগঞ্জ মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ রায় জানান, বিগত ৪ সেপ্টেম্বর পরিবহন মালিক শ্রমিকদের যৌথ সভায় নবীগঞ্জ উপজেলার সালামতপুর বাস টার্মিনালকে হবিগঞ্জের বাস গুলোকে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে হবিগঞ্জ থেকে কোন বাস ঐ টার্মিনালে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। অপর দিকে অবৈধ থ্রি হুইলার বন্ধেও কোন ব্যবস্থা নেননি। তাই অনিদিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সিলেটে বিএনপির সামাবেশের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট