সোমবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ফুলতলী এলাকার এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার মুরাউড়া গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী সবিরুন (৩৫), তার মেয়ে মারিয়া (২), তাহেরের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ছালিমা আক্তার (২৫), অন্তর মিয়া (১৮), লতিফপুর গ্রামের অটোচালক কিতাব আলী (২২), সাতাইহাল গ্রামের লিজা আক্তার (১৭) ও ছুরত আলীর ছেলে লিটন মিয়া (৩০) এবং অজ্ঞাত এক পুরুষ (২৮)।
আরও পড়ুন: নভেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার নিহত ৪৩৯: প্রতিবেদন
আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সিলেটগামী বিআরটিসি বাসটির সাথে স্থানীয় পানিউমদাগামী একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরও একটি অটোরিকশার সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে আটজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাদের মধ্যে অজ্ঞাত পুরুষটি বাসের যাত্রী ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে ও নবীগঞ্জ থানা পুলিশ এবং শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতের উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ছয়জনসহ নিহত ৭
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভুইয়া বলেন, ‘বিআরটিসি বাসটি প্রথমে একটি সিএনজিকে চাপা দেয়। অটোরিকশাটি বাসের নিচে ঢুকে পড়ে। এ সময় আরেক সিএনজিও বাসের চাপায় রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ আটজন মারা যান। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’