খেলাধুলা
রাতে দেশে ফিরছে টাইগাররা, যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সাকিব
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ দল। তবে দলের সঙ্গে দেশে না ফিরে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
ক্রিকেটারদের দেশে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্রিকেটারদের একাংশ রাত ১১টায় দেশে পৌঁছাবে, অন্য অংশ আসবে রাত ২টার দিকে।
সাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, পরিবারের কাছে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন তিনি। তবে আসন্ন ভারত সিরিজে তাকে দলে রাখা হলে সেখান থেকেই ভারত সফরে যাবেন তিনি।
আরও পড়ুন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা চারে উঠে এল বাংলাদেশ
দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে চলতি মাসেই ভারত সফর করবে বাংলাদেশ। তাই দেশে ফিরলেও বেশি দিন বিশ্রাম পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররা।
আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে অনুশীলন শুরু হতে পারে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাই টেস্ট দিয়ে ভারত সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কানপুরে হবে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটিটি। এরপর ৬, ৯ ও ১২ অক্টোবর যথাক্রমে গোয়ালিওর, দিল্লি ও হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত হবে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
৪৮০ দিন আগে
চোখের জলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায়ের ঘোষণা সুয়ারেসের
চোখ ছলছল করছিল। কথা বলতে গিয়ে ধরে আসছিল গলাও। ওই অবস্থায় লুইস সুয়ারেস জানিয়ে দিলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে আমি শেষ ম্যাচটি খেলব শুক্রবার।’
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে শুক্রবার (বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে) প্যারাগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে উরুগুয়ে। ওই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে দিলেন আয়াক্স, লিভারপুল হয়ে বার্সেলোনা ও আতলেতিকো মাদ্রিদ ঘুরে যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধু লিওনেল মেসির সঙ্গে ফুটবল খেলা, ফুটবলে অভিনব সব ঘটনার জন্ম দেওয়া সুয়ারেস।
তবে তার এই বিদায় ঘোষণা একেবারে অপ্রত্যাশিত নয়। উজ্জ্বল সময় পার করে শেষলগ্নে এসে এমনিতেই তার ক্যারিয়ারের আলো নিভু নিভু। তাই বিদায়বেলায় তার পরাণ যেমন পুড়ে যাচ্ছে, তেমনই গর্ববোধ করছেন ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার।
সুয়ারেস বলেন, ‘অবসরের সঠিক সময় জেনে, ঠিক সময়ে বিদায় নেওয়ার চেয়ে গর্বের আর কিছু নেই। সৌভাগ্যবশত জাতীয় দল থেকে এমন সময়ে আমি অবসর নিচ্ছি বলে মনে করি, যখন আমি জানি যে সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।’
‘বয়স ৩৭ বছর হয়ে গেছে; আমি জানি যে, পরের বিশ্বকাপে খেলা আমার জন্য কঠিন হতো। তবে এটা ভেবে স্বস্তি পাচ্ছি যে, চোটের কারণে বা পারফরম্যান্সের কারণে নয়, নিজে থেকেই সরে দাঁড়াচ্ছি।
আরও পড়ুন: অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি অবশ্যই কঠিন; বিদায় বলা কখনোই সহজ নয়। তবে যে শান্তনাটুকু সঙ্গে নিয়ে আমি (পরবর্তী) জীবন কাটাব, তা হচ্ছে- শেষ ম্যাচ পর্যন্ত নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছি, ভেতরের বারুদ আস্তে আস্তে মিইয়ে আসেনি। এ কারণেই আমার মনে হয়েছে যে, এখনই সময়।’
৪৮১ দিন আগে
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের সূচি চূড়ান্ত
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি চক্রের (২০২৩-২৫) ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে লর্ডসের নাম আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার চূড়ান্ত করা হয়েছে দিনক্ষণও। প্রতিযোগিতার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি শুরু হবে ২০২৫ সালের ১১ জুন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ফাইনালের সূচি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
আগামী বছরের ১১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিখ্যাত লর্ডস স্টেডিয়ামে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রয়োজনে ১৬ জুন রিজার্ভ ডে হিসেবে রাখা হয়েছে।
আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বশেষ স্ট্যান্ডিং অনুসারে, ৯ ম্যাচে ৬টি জয়, ১টি ড্র ও ২টি হারে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ভারত; ৬৮.৬২ শতাংশ হারে তাদের পয়েন্ট ৭৪। আর ২ ম্যাচে ৮টি জয়, ১টি ড্র ও ৩টি হারে দ্বিতীয় অবস্থানে অস্ট্রেলিয়া; ৬২.৫০ শতাংশ হারে তাদের পয়েন্ট ৯০। ফাইনালে এই দুই দলের খেলার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।
এছাড়া ৫০.০০ শতাংশ হারে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। আর ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করায় চতুর্থ অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ৬ ম্যাটের তিনটিতে জয় ও তিনটিতে হেরে ৪৫.৮৩ শতাংশ হারে তাদের পয়েন্ট ৩৩।
আরও পড়ুন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা চারে উঠে এল বাংলাদেশ
টেবিলের পঞ্চম অবস্থানে থাকা ফাইনালের আয়োজক ইংল্যান্ডের নামের পাশে ১৫ ম্যাচে রয়েছে ৪৫ শতাংশ পয়েন্ট।
পরের চারটি অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা (৬ ম্যাচে ৩৮.৮৯ শতাংশ পয়েন্ট), শ্রীলঙ্কা (৬ ম্যাচে ৩৩.৩৩ শতাংশ পয়েন্ট), পাকিস্তান (৭ ম্যাচে ১৯.০৫ শতাংশ পয়েন্ট) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৯ ম্যাচে ১৮.৫২ শতাংশ পয়েন্ট)।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ২০২১ সালে সাউদ্যাম্পটনে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতকে ৮ উইকেটে হারায় কিউইরা।
এরপর ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় চক্রের ফাইনালেও কপাল পোড়ে ভারতের। লন্ডনের ওভালে রোহিত শার্মার দলকে ২০৯ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া।
দুই বছর ধরে চলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের একেকটি চক্র। পয়েন্টের শতকরা হারে টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল ফাইনালে অংশগ্রহণ করে থাকে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
৪৮১ দিন আগে
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা চারে উঠে এল বাংলাদেশ
২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। এর ফলে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছে টাইগাররা।
পাকিস্তানে সফরে যাওয়ার আগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ র্যাঙ্কিংয়ের আট নম্বরে ছিল বাংলাদেশ। প্রথম টেস্ট জিতে এক ধাপ উপরে ওঠে টাইগাররা, আর দ্বিতীয় টেস্ট জিতে এক লাফে চার নম্বর স্থানে উঠে এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। আর এই জয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলেও অনেক রদবদল এসেছে।
আরও পড়ুন: দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যা বললেন মাশরাফি ও তামিম
আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বশেষ স্ট্যান্ডিং অনুসারে, ৬ ম্যাটের তিনটিতে জয় ও তিনটিতে হেরে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে ৩৩ পয়েন্ট পেলেও টাইগারদের শতাংশ হার ৪৫.৮৩।
অন্যদিকে, হোয়াইট ওয়াশ হয়ে বাংলাদেশের আগের অবস্থান অষ্টম স্থানে নেমে গেছে পাকিস্তান। ৭ ম্যাচে ১৯.০৫ হারে তাদের পয়েন্ট ১৬।
এছাড়া, ৯ ম্যাচে ৬টি জয়, ১টি ড্র ও ২টি হারে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ভারত; ৬৮.৬২ শতাংশ হারে তাদের পয়েন্ট ৭৪। ২ ম্যাচে ৮টি জয়, ১টি ড্র ও ৩টি হারে দ্বিতীয় অবস্থানে অস্ট্রেলিয়া; ৬২.৫০ শতাংশ হারে তাদের পয়েন্ট ৯০। আর ৫০.০০ শতাংশ হারে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক জয়ের কৃতিত্ব একাই নিতে চান না লিটন
৪৮১ দিন আগে
দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যা বললেন মাশরাফি ও তামিম
চতুর্থ দিন জয়ের সুবাস ছড়িয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪২ রান তুলে দিন শেষ করার পর দেশের ক্রিকেটপ্রেমী প্রতিটি মানুষই পঞ্চম দিনে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের খোঁজখবর রাখছিলেন। লাইভ ক্রিকেট অ্যাপ, লাইভ স্ট্রিমিং কিংবা টেলিভিশনের সামনে, নিজ নিজ জায়গা থেকে জয়ের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছিলেন সবাই। এরপর ঐতিহাসিক জয়ের পর টাইগারদের উদ্দেশে শুভেচ্ছাবার্তায় ভেসে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
ক্রিকেটের এলিট সংস্করণে পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর নাজমুল হোসেন অ্যান্ড কোং-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক দুই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তামিম ইকবালও।
পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করার পর নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন মাশরাফি। দলের বিজয় উৎসবের একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়! অভিনন্দন বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুন: সিরিজসেরার প্রাইজমানি আন্দোলনে নিহত রিকশাচালকের পরিবারকে উৎসর্গ করলেন মিরাজ
জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও ট্রফিসহ বাংলাদেশ দলের উদযাপনের ছবিটি পোস্ট করে ফেসবুকে শুভেচ্ছা বার্তা দেন।
ইংরেজি ভাষায় লেখা সেই বার্তার বাংলা এরকম, ‘এটা স্রেফ অসাধারণ… ৬ উইকেটে ২৬ রান থেকে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়! কী দারুণ ঘুরে দাঁড়ানো…’
‘(বাংলাদেশ) দলকে অনেক বড় অভিনন্দন… এটি অনেক দিন ধরে স্মরণ করা হবে।’
এর আগে, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মতো দলগুলোর বিপক্ষে ম্যাচ জিতলেও সিরিজ জেতা হয়ে ওঠেনি বাংলাদেশের। টেস্টে তাদের সিরিজ জয়ের রেকর্ড ছিল শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক জয়ের কৃতিত্ব একাই নিতে চান না লিটন
তবে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ২-০ ব্যবধানে জিতলেও সেবার চুক্তি সংক্রান্ত ঝামেলায় শীর্ষ ক্রিকেটারদের কেউই টাইগারদের বিপক্ষে হওয়া ওই সিরিজে খেলেননি। মূলত ক্যারবীয়দের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ।
তাই প্রথমবার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম সারির কোনো পূর্ণ শক্তির দলের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে ইতিহাস সৃষ্টির পাশাপাশি ক্রিকেটের এলিট সংস্করণে নিজেদের বীরত্বগাঁথা আরও একটু বড় করল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
৪৮১ দিন আগে
ঐতিহাসিক জয়ের কৃতিত্ব একাই নিতে চান না লিটন
দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে উইকেটের পেছনে থেকে দুটি ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিং আউট করার পর ব্যাট হাতে যখন ক্রিজে নামেন লিটন দাস, তখন রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ। সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েই ব্যাট হাতে রানের ফুল ফোটান তিনি। তারপর দ্বিতীয় ইনিংসে বোলারদের কৃতিত্বের পর ব্যাটিংয়ে নামাই লাগেনি এই ব্যাটারের, তার আগেই সিরিজ জয় করে তার কৃতিত্বের দারুণ প্রতিদান দিয়েছেন সতীর্থরা।
খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলে পাকিস্তানকে তাদের মাটিতেই হোয়াইট ওয়াশ করে বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ার দিনে দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ের নায়ক তাই লিটন কুমার দাস। তবে ম্যাচ জয়ের কৃতিত্বের সবটা একই নিতে চান না এই এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এই জয় দলীয় প্রচেষ্টার ফল। এই কৃতিত্ব সবার; কোচিং স্টাফদেরও ভূমিকা রয়েছে এই স্মরণীয় জয়ে। টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- সব বিভাগেই ভালো করতে হয়।’
আরও পড়ুন: সিরিজসেরার প্রাইজমানি আন্দোলনে নিহত রিকশাচালকের পরিবারকে উৎসর্গ করলেন মিরাজ
তিনি বলেন, ‘প্রথম টেস্টে আপনি দেখেছেন যে, জাকির যে ক্যাচটি নিয়েছিল এবং আমি বাবরের যে ক্যাচটি নিয়েছিলাম, সেখান থেকেই আমরা মোমেন্টাম পেয়ে যাই। দ্বিতীয় টেস্টের (নিজেদের ব্যাটিংয়ের) প্রথম অংশটুকু বাদ দিলে আমাদের প্রত্যেক ব্যাটারই ভালো ব্যাটিং করেছে। শুধু ব্যাটিং কেন, বোলিং-ফিল্ডিং সবই ভালো হয়েছে।’
‘আমরা যখন এখানে আসি, তখন সবকিছু ঠিকঠাক ছিল না। এখানে আসার পর আমরা সবাই কঠোর অনুশীলন করেছি।’
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে মিরাজের সঙ্গে রেকর্ড গড়া ইনিংসটির কারণেই ম্যাচটি জেতার মানসিকতা পায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের ২৬২ রানের মধ্যে একাই ১৩৮ রান করেন লিটন। তবে জুটিটি গড়ার জন্য মিরাজকেই বেশি কৃতিত্ব দিলেন তিনি।
‘আসলে কৃতিত্বটা মিরাজের। ব্যাটিংয়ে নেমেই প্রথম কয়েকটি বল ও যেভাবে মোকাবিলা করল, ৫ কি ৬টা বাউন্ডারি মেরেছিল মিরাজ, আর সেটিই আমাদের কাজ অনেকটা সহজ করে দিয়েছিল।’
আরও পড়ুন: অনুভূতি প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না অধিনায়ক শান্ত
২৬ রানের মধ্যে বাংলাদেশের ৬ উইকেট তুলে নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর হয়ে বল করছিল পাকিস্তানের বোলাররা। তাই যে কোনোভাবে ওদের মোমেন্টাম নষ্ট করাই লক্ষ্য ছিল বলে জানান লিটন।
তিনি বলেন, ‘(কনুইতে) আঘাত পাওয়ার কারণে আমি শুরুতে ঠিকমতো খেলতে পারছিলাম না। ওর (মিরাজ) মতো অতটা মারতে পারিনি। তবে ওর ওই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণেই চাপ অনেকটা কমে যায়। এরপর মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরে আমরা নির্দ্বিধায় ব্যাটিং করে গিয়েছি।’
পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিংয়ে নেমেও অসাধারণ কিপিং করেন লিটন। পেসারদের গতি সামলে উইকেটের পেছন থেকে চারটি ক্যাচ নেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
৪৮১ দিন আগে
সিরিজসেরার প্রাইজমানি আন্দোলনে নিহত রিকশাচালকের পরিবারকে উৎসর্গ করলেন মিরাজ
প্রথম ম্যাচ দশ উইকেটে জেতার পর দ্বিতীয় ম্যাচটি ছয় উইকেটে জিতে পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই ব্যাট-বল উভয় বিভাগেই অসাধারণ পারফর্ম করে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই পুরস্কারের অর্থ তিনি উৎসর্গ করেছেন সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রিকশাচালকের পরিবারকে।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের মাঝেই পাকিস্তান সফরে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এরপর সরকার পতন ও দেশ সংস্কারের আন্দোলনে রূপ নেয় তা। আন্দোলন চলাকালে রক্তাক্ত হয়েছে গোটা দেশ। তাতে প্রাণ হারিয়েছেন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও। এসব ঘটনার প্রভাব পড়ে ক্রিকেট বাংলাদেশের ওপরও।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ইতিহাস গড়া প্রথম ম্যাচ জিতে সেই জয় দেশের আন্দোলনে নিহতদের উৎসর্গ করেছিলেন মিরাজ। এবার সিরিজসেরার পুরস্কারের ব্যক্তিগত অর্জনও বিলিয়ে দিলেন আন্দোলনে নিহতদের উদ্দেশেই।
আরও পড়ুন: অনুভূতি প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না অধিনায়ক শান্ত
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আনুষ্ঠানিক প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে সময় চেয়ে নিলেন মিরাজ। এরপর কণ্ঠ ধরে আসলেও নিজেকে সামলে নিয়ে তিনি বলে উঠলেন, সিরিজসেরার স্বীকৃতি ও অর্থ তিনি উৎসর্গ করছেন দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হওয়া এক রিকশাচালককে।
মিরাজ বলেন, ‘এই প্রথম বিদেশ সফরে আমি প্লেয়ার অব দ্য সিরিজের পুরস্কার জিতেছি। আপনারা জানেন যে, আমাদের দেশে গত কিছুদিন ধরে সমস্যা চলছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হয়েছে।’
‘আমি এই ম্যান অব দ্য সিরিজ পুরস্কারটি উৎসর্গ করতে চাই সেই ব্যক্তিদের যারা বৈষম্যবিরোধী প্রতিবাদের সময় মারা গেছেন। সেখানে একজন রিকশাচালক আহত হন এবং পরে মারা যান। আমি তার পরিবারকে এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি।’
সিরিজসেরা হওয়ায় স্মারক ট্রফির পাশাপাশি ৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি অর্থ পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে তাকে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টাকার মতো।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাতে দুটি ইনিংস খেলে ১৫৫ রান এবং বল হাতে মোট ১০টি উইকেট পেয়েছেন মিরাজ। এর মধ্যে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭৮ রান করে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ১৯৬ রানের ঐতিহাসিক জুটি গড়ার পথে দলের জয়ের ভিত্তি তৈরি করেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন মিরাজ।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বল হাতে ৫ উইকেট নেওয়ার পর বাংলাদেশ যখন ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত, তখন লিটন দাসের সঙ্গে ফের ৭৭ রানের আরেকটি ইনিংস খেলে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে ভূমিকা রাখেন এই অলরাউন্ডার।
৪৮১ দিন আগে
অনুভূতি প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না অধিনায়ক শান্ত
পাকিস্তানের বিপক্ষে এর আগে কখনোই টেস্ট ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সিরিজ শুরুর আগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, এই ধারায় পরিবর্তন আনতে চান তারা। কথা রেখেছে বাংলাদেশ, কথা রেখেছেন শান্তও। শুধু ম্যাচ জয়ই নয়, পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করে সিরিজ জয় করে ইতিহাস গড়েছে তার দল।
এমন জয়ে দারুণ আনন্দিত বাংলাদেশ অধিনায়ক। আনন্দ প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।
নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে শান্ত বলেন, ‘এই সাফল্য আমাদের জন্য বিরাট একটা ব্যাপার। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সত্যিই খুব খুশি আমরা। এখানে আসার আগে আমরা পাকিস্তানে জিততে চেয়েছিলাম। সবাই যেভাবে নিজেদের কাজটা করেছে, তাতে খুবই খুশি আমি।’
দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। এই দুজনের বোলিং বিষে পাকিস্তান নীল হয়ে যাওয়ার কারণেই পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ।
এই দুই বোলারের প্রসংশা করতে গিয়ে নাজমুল বলেন, ‘সম্প্রতি তারা যেভাবে কাজ করেছে, তারই ফল পেয়েছে মাঠে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
অসাধারণ এই জয়ের জন্য একাদশের বাইরের ক্রিকেটারদেরও কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না তিনি। বললেন, ‘দলীয় পারফরম্যান্সে এই সাফল্য এসেছে। সবাই অবদান রেখেছে এই সিরিজে।’
‘এই সাফল্যে দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই সমান ভূমিকা আছে। সাফল্যে বড় অবদান রেখেছে একাদশের বাইরে থাকা চার ক্রিকেটারও। তারা মাঠের বাইরে থেকে নানাভাবে অবদান রেখেছেন।’
‘আমরা সবসময় তাদের কথাই বলি যারা রান করে বা উইকেট নেয়, কিন্তু সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই জয় এসেছে। আশা করি, এই সংস্কৃতি অব্যাহত থাকবে।’
দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের কল্যাণে বিপদে পড়েও ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেছে বাংলাদেশ। আগামী মাসে ভারতের বিপক্ষেও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স আশা করেন অধিনায়ক।
এসময় দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের অবদানের কথাও উল্লেখ করেছেন শান্ত।
আরও পড়ুন: রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের পেসাররা
প্রথম টেস্টে মুশফিকের অনবদ্য ১৯১ রানের ইনিংস এবং দরকারি সময়ে সাকিব উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ জয়ে কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন। ভারতের বিপক্ষেও এই দুজনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তিনি।
শান্ত বলেন, ‘সাকিব ভাই আর মুশফিক ভাইয়ের বিশাল অভিজ্ঞতা দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই অভিজ্ঞতা ভারতের বিপক্ষে সিরিজে আমাদের বড় পুঁজি। আশা করছি পাকিস্তানে তারা দুজন যেভাবে খেলেছেন, ভারতের বিপক্ষে পরের সিরিজেও তারা একই রকম পারফর্ম করবেন।’
৪৮১ দিন আগে
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
আবরার আহমেদের অফ স্ট্যাম্পের বেশ বাইরের ডেলিভারিটি জোরালো ড্রাইভে সীমানাছাড়া করলেন সাকিব আল হাসান, সঙ্গে সঙ্গে অন্যপ্রান্ত থেকে গর্জন করে উঠলেন মুশফিকুর রহিম। উল্লাস শোনা গেল ড্রেসিং রুমের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তসহ বাকি সবারও। সব মিলিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো, এক কথায় তা ‘পাকিস্তানের বুকে বাংলাদেশের বিজয় উল্লাস’।
হ্যাঁ, পাকিস্তানকে তাদের মাটিতেই হোয়াইটওয়াশ করে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করেছে টাইগাররা।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই মাঠেই প্রথম ম্যাচে তারা জেতে ১০ উইকেটে।
প্রথম টেস্ট জেতায় সিরিজ জয় করতে দ্বিতীয় ম্যাচটিতে হার এড়ালেই চলত বাংলাদেশের। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হলে সেই সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়। তবে দ্বিতীয় দিন থেকে খেলা শুরু হলে পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে বেঁধে ফেলে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজ একাই পাঁচ উইকেট নেন, আর সাকিব তিন উইকেট নিলে দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগেই পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মিরাজের ঘূর্ণিতে ২৭৪ রানে থামল পাকিস্তান
দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে ১০ রান সংগ্রহ দিনের খেলা শেষ করলেও পরের দিন সকালটা দুঃস্বপ্নের মতো শুরু হয় বাংলাদেশের। দলীয় ২৬ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে চোখে সর্ষের ফুল দেখতে থাকে টাইগাররা। তবে ধ্বংস্তুপে দাঁড়িয়ে আশার ফুল ফোটান লিটন দাস ও মিরাজ। বল হাতে পাকিস্তানের ৫ উইকেট তোলার পর ব্যক্তিগত ৭৮ রান করে লিটনের সঙ্গে রেকর্ড গড়া জুটিতে বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলতে বড় ভুমিকা রাখেন মিরাজ। অন্য প্রান্তে ১৩৮ রান করে দলকে মাত্র ১২ রান দূরে রেখে তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে লিটন বিদায় নিলে বাংলাদেশও থামে ২৬২ রানেই। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে বল হাতে অসাধারণ পারফর্ম করেন পাকিস্তানের খুররাম শাহজাদ। একাই ৬ উইকেট নিয়ে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন-আপ চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে বোলিং ঝলক দেখায় বাংলাদেশের পেসাররা। প্রথম ইনিংসে স্পিনাররা দাপট দেখালেও দ্বিতীয় ইনিংসে দশ উইকেটের সবকটি নিয়েছেন পেসাররা। টেস্টে এই প্রথম এক ইনিংসে বাংলাদেশের পেসাররাই সবগুলো উইকেট নিলেন। এর মধ্যে হাসান মাহমুদের ফাইফার এবং আগুনে বোলিংয়ে নাহিদ রানা চার উইকেট নিলে লিড বেশি বড় করতে পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। তারা মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে গেলে সব মিলিয়ে ১৮৫ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। এই ইনিংসে ১৫২ কিলোমিটার গতির বল করে বাংলাদেশের সবচেয়ে গতিসম্পন্ন বোলারও হয়ে যায় ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলতে নামা ২১ বছর বয়সী পেসার নাহিদ।
৪৮১ দিন আগে
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের পেসাররা
দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টেস্ট ম্যাচের এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা।
চলমান রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এই ইনিংস জয় পেলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে পারবে টাইগাররা। চতুর্থ দিন বিকালে বাজে আলোয় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৪২ রান করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: জোড়া সেঞ্চুরিতে কুককে ছাড়িয়ে একাধিক রেকর্ডে রুট
এর আগে স্বাগতিকরা ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায়। আর বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ খেলেন তার ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স। গড়েন ডাবল রেকর্ড- নিজের প্রথম পাঁচ উইকেট এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশি কোনো পেসারের প্রথম পাঁচ উইকেট।
অন্যদিকে তরুণ পেসার নাহিদ রানাও খেললেন তার ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স। চার উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। তাতে মনে হচ্ছিল এবারের ইনিংসেও স্পিনারদের দাপট দেখা যাবে কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে এসে স্পিনারদের হারিয়ে দিলেন পেসাররা। পাকিস্তানকে অলআউট করলেন পেসাররাই।
এখন পর্যন্ত, বাংলাদেশের পেসারদের সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল টেস্ট ইনিংসে নয় উইকেট নেওয়া। চারবার এই সাফল্য পেয়েছিলেন তারা- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনবার এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একবার।
এবার সেসব রেকর্ড ভেঙে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পেসাররা নিয়ে নিলেন ১০ উইকেট। যা বাংলাদেশকে টেস্ট সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। দেখা যাক সিরিজের প্রথম টেস্টের মতো এবারও ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় কি না টাইগাররা। সেটি হয়ে গেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নামের পাশে যুক্ত হতে পারে আরও কয়েকটি রেকর্ড।
আরও পড়ুন: হাসানের জোড়া শিকারে দিনের শেষটাও রাঙাল বাংলাদেশ
অবশেষে ভাঙল লিটনের প্রতিরোধ, ২৬২ রানে থামল বাংলাদেশ
৪৮২ দিন আগে