খেলাধুলা
দ্বিতীয় টেস্ট স্কোয়াডে শক্তি বাড়াল পাকিস্তান
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ১০ উইকেটের ব্যবধানে হেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তাই দ্বিতীয় টেস্টের আগে স্কোয়াড শক্তিশালী করছে তারা।
রাওয়ালপিন্ডিতেই দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে শুক্রবার (৩০ আগস্ট)। তার আগেই এই ম্যাচের জন্য দলে ডাক পেয়েছেন লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ, পেস অলরাউন্ডার আমির জামাল ও ব্যাটার কামরান গুলাম। এছাড়া ছুটিতে যাওয়া শাহিন শাহ আফ্রিদিকেও স্কোয়াডে ফেরানো হয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দ্বিতীয় টেস্টের জন্য পাকিস্তানের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। এতে এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। তবে এই তিন খেলোয়াড়কে যুক্ত করা হলেও প্রথম টেস্টের স্কোয়াড থেকে কাউকে বাদ দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক জয় টাইগারদের
শুরু থেকেই পাকিস্তান স্কোয়াডে ছিলেন আবরার ও কামরান। তবে প্রথম টেস্টের আগে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তাদের ছেড়ে দেয় পিসিবি। আর আমির জামাল বাদ পড়েন ইনজুরির কারণে। তাবে ফেরানো হলেও দ্বিতীয় টেস্টে তার খেলা নির্ভর করছে ফিটনেসের ওপর।
এছাড়া, প্রথম টেস্ট চলাকালে বাবা হন শাহিন আফ্রিদি। গুঞ্জন ছিল দ্বিতীয় টেস্টে তিনি না-ও খেলতে পারেন। তবে দশ উইকেটে হারের পর বদলে গেছে পরিস্থিতি। তাই প্রথম টেস্ট শেষে ছুটিতে গেলেও মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় তিনি আবার দলে ফিরে এসেছেন।
প্রথম টেস্ট একাদশে কোনো স্পিনার না রেখেই সর্বাত্মক পেস আক্রমণ নিয়ে মাঠে নামে পাকিস্তান। তবে এই সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হয়েছে তাদের। অন্যদিকে, বাংলাদেশ তিন পেসার নিয়ে খেললেও দ্বিতীয় ইনিংসে চমক দেখায় স্পিনাররা। তাই দ্বিতীয় টেস্টের জন্য আবরারকে ফিরিয়েছে পাকিস্তান।
রাওয়ালপিন্ডিতে এই লেগ স্পিনারের রেকর্ডও দারুণ। ঘরোয়া ক্রিকেটে এই মাঠে পাঁচটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ১৭ দশমিক ২৫ গড়ে মোট ৪০টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
পাকিস্তান স্কোয়াড: শান মাসুদ (অধিনায়ক), সৌদ শাকিল (সহ-অধিনায়ক), আমির জামাল (ফিটনেস সাপেক্ষে), আবরার আহমেদ, আব্দুল্লাহ শফিক, বাবর আজম, কামরান গুলাম, খুররাম শাহজাদ, মির হামজা, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ হুরাইরা, মোহাম্মদ রিজওয়ান, নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব, সালমান আলী আগা, সরফরাজ আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি।
আরও পড়ুন: ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম বাঁহাতি স্পিনার এখন সাকিব
৪৮৭ দিন আগে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে মালান
৩৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন ইংলিশ ব্যাটার ডাওইড মালান।
বুধবার (২৮ আগস্ট) অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ও ঘরোয়া ক্রিকেটে তাকে দেখা যাবে।
অবসরের ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া একটি অসাধারণ যাত্রা শেষ হলো। ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই খেলতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।’
‘ইংল্যান্ডের বিভিন্ন দলের কোচ ও কর্মীরা, যারা আমাকে সহযোগিতা ও সমর্থন করেছেন এবং এই সাত বছরে পাওয়া আমার সব ইংল্যান্ড সতীর্থ- সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: সব ধরনের ক্রিকেট থেকে শিখর ধাওয়ানের বিদায়
ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই সেঞ্চুরি করা মাত্র দুই ইংলিশ ব্যাটারদের মধ্যে মালান একজন। তিনি ছাড়া এই কীর্তি আছে কেবল জস বাটলারের। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ডও তার। মাত্র ২৪ ম্যাচে এক হাজার রান সংগ্রহ করেন তিনি।
ইংল্যান্ডের হয়ে তিনি ২২টি টেস্ট ৩০টি ওয়ানডে ও ৬২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে ২২ টেস্টের ৩৯ ইনিংস খেলে ১ সেঞ্চুরি ও ৯ ফিফটিতে তার সংগ্রহ ১ হাজার ৭৪ রান। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩০ ইনিংসে ৬ সেঞ্চুরি ও ৭ ফিফটিতে ৫৫.৭৬ গড়ে তিনি করেন ১ হাজার ৪৫০ রান। আর টি-টোয়েন্টির ৬০ ইনিংসে ১ সেঞ্চুরি ও ১৬ ফিফটিতে মালানের সংগ্রহ ১ হাজার ৮৯২ রান।
২০২০ সালে তিনি টি-টোয়েন্টির ব্যাটার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান দখল করেন। এরপর ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতেন মালান।
৪৮৭ দিন আগে
ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে সৌদি প্রো লিগে কান্সেলো
ম্যানচেস্টার সিটির ফুটবলার হয়েও একপ্রকার যাযাবরের মতো জীবন কাটাচ্ছিলেন জোইয়াও কান্সেলো। অবশেষে ইউরোপীয় ফুটবল ছেড়ে নতুন ঠিকানা খুঁজে নিলেন ৩০ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ ফুলব্যাক। সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল-হিলালে যোগ দিয়েছেন তিনি।
দলবদলের মৌসুমে বার্সেলোনাসহ বেশকিছু ইউরোপীয় ক্লাব তার ওপর নজর রাখছে বলে গুঞ্জন ছিল। তবে শেষমেষ আল-হিলালেই থিতু হয়েছেন এই ফুটবলার।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) তাকে দলে টানার ঘোষণা দিয়েছে আল-হিলাল।
সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএনের জানিয়েছে, কান্সেলোকে দলে পেতে সিটিকে ২৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে আল-হিলাল। তিন বছরের চুক্তিতে ক্লাবটিতে নাম লিখিয়েছেন কান্সেলো, যেখানে প্রতি বছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন ইউরো উপার্জন করবেন এই ফুটবলার।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনা থেকে আবারও সিটিতে গুন্ডোগান
সিটি বস পেপ গার্দিওলার সঙ্গে মতানৈক্যের কারণে ২০২২-২৩ মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধ বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ধারে খেলেন কান্সেলো। এরপর ২০২৩-২৪ মৌসুমের পুরোটাই তিনি কাটিয়েছেন বার্সেলোনায়।
কাতালুনিয়ায় তার ধারে খেলার সময় শেষে ফের ম্যানচেস্টারে ফেরেন তিনি। এরপর গার্দিওলা জানিয়েছিলেন, ক্লাবের প্রয়োজনে দলে ডাক পেতে পারেন তিনি। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দুই ম্যাচে তাকে মাঠে নামানো হয়নি। এরপর আল-হিলালের সঙ্গে তার চুক্তিবদ্ধ হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এলো।
২০১৮-১৯ মৌসুমে ইউভেন্তুসের সেরি-আ জয়ে মৌসুমজুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন কান্সেলো। এরপর ২০১৯ সালের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ৬০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে তাকে দলে টানে সিটি। ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়েও দারুণ পারফর্ম করেন তিনি। সিটির হয়ে টানা তিনটি প্রিমিয়ার লিগ জেতার পর দলে তার জায়গা নড়বড়ে হয়ে যায়। এ কারণেই কোচের ওপর প্রকাশ্যে ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি, যার ফলে ক্লাব ছাড়াটা তার জন্য ছিল একপ্রকার সময়ের ব্যাপার মাত্র।
আরও পড়ুন: অবশেষে ‘ঠিকানা’ খুঁজে পেলেন ফেলিক্স
ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতে ১৫৪ ম্যাচ খেলে ৯ গোল করেছেন এই উইংব্যাক, জিতেছেন তিনটি প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ ও লিগ কাপের শিরোপা।
আল-হিলালে তিনি নেইমার, ম্যালকম, নিজ দেশের রুবেন নেভেস, সেনেগালের কালিদু কুলিবালি ও মরোক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনোর মতো তারকাদের সঙ্গে খেলবেন।
৪৮৮ দিন আগে
২৭ বছরেই চলে গেলেন উরুগুয়ে ডিফেন্ডার ইসকিয়ের্দো
ফুটবল খেলতে খেলতেই মাঠে লুটিয়ে পড়েন উরুগুয়ের ক্লাব নাসিওনালের ডিফেন্ডার হুয়ান ইসকিয়ের্দো। তারপর থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার। তবে মাঠে আর ফেরা হলো না এই ফুটবলারের। মাত্র ২৭ বছর বয়সেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন তিনি।
কোপা লিবের্তাদোরেসের ম্যাচে গত ২২ আগস্ট ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সাও পাওলোর বিপক্ষে নাসিওনালের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন ইসকিয়ের্দো। অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের কারণে ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে তিনি কোনো খেলোয়াড়ের সংস্পর্শে না এসেই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
তারপর থেকে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসা চলছিল তার। পরে নাসিওনালের পক্ষ থেকেও প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল, তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। কিন্তু পাঁচ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হলো তার।
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ: ব্রাজিল পুলিশের তদন্তে নির্দোষ আন্তোনি
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়ার সঙ্গে যুক্ত কার্ডিওপালমোনারি অ্যারেস্টের পর মস্তিষ্কের সেল অকার্যকর হয়ে ইসকিয়ের্দোর মৃত্যু হয়েছে। তবে এর আগে হৃদরোগজনিত কোনো সমস্যা ছিল না এই ফুটবলারের।
তার মৃত্যুতে উরুগুয়ের ফুটবল অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নাসিওনালের পক্ষ থেকে এক শোকবার্তায় বলা হয়েছে, গভীর দুঃখের সঙ্গে ক্লাব নাসিওনাল আমাদের প্রিয় খেলোয়াড় হুয়ান ইসকিয়ের্দোর মৃত্যুর খবর ঘোষণা করছে। আমরা তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী ও প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। তার অপূরণীয় ক্ষতির জন্য পুরো নাসিওনাল পরিবার শোকাহত।
দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের সভাপতি আলেহান্দ্রো দোমিঙ্গেস বলেছেন, তার মৃত্যুর খবরে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল গভীরভাবে শোকাহত।
ইসকিয়ের্দোর উদ্দেশে বুধবার ফেডারেশন আয়োজিত প্রতিটি ম্যাচে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি এদনাল্দো রদ্রিগেস।
আরও পড়ুন: এবার বিদায় বলে দিলেন নয়ার
এছাড়া, ইসকিয়ের্দোর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ইন্টার মায়ামির উরুগুয়ে তারকা লুইস সুয়ারেস বলেছেন, ‘দুঃখ, বেদনা, এগুলো ব্যাখ্যা করা কঠিন। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। ইসকিয়ের্দোর পরিবার-পরিজন শোক সইবার শক্তি পাক- এই কামনা করি।’
স্প্যানিশ সংবাদপত্র এল পাইসের খবর অনুসারে, দশ দিন আগে তাদের দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ইসকিয়ের্দোর স্ত্রী।
৪৮৮ দিন আগে
অভিষেক ম্যাচে গোল করে বার্সেলোনাকে জেতালেন অলমো
লাইপসিগ থেকে দলে ভিড়িয়েও যাকে লিগে নিবন্ধন করাতে পারছিল না বার্সেলোনা, সেই দানি অলমোই অভিষেক ম্যাচে মাঠে নেমে পার্থক্য গড়ে দিলেন। কাতালুনিয়ান জায়ান্টদের তৃতীয় জয়ের রাতে তাই নায়ক বনে গেলেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
মাদ্রিদের ভায়েকাস স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে বার্সেলোনা।
ম্যাচের নবম মিনিটে গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন উনাই লোপেস। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৬০তম মিনিটে গোল করে বার্সাকে পেদ্রি সমতায় ফেরানোর পর ৮২তম মিনিটে দানি অলমোর গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কাতালানরা।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই বার্সেলোনার সঙ্গে সমানে টক্কর দিকে থাকে রায়ো। দুই পক্ষেরই পাল্টাপাল্টি আক্রমণের মাঝে নবম মিনিটে গোল পেয়ে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
আরও পড়ুন: বিলবাওয়ের বিপক্ষে ঘাম ঝরানো জয় বার্সেলোনার
শুরুতেই গোল পেয়ে এরপর থেকে শারীরিক খেলায় মেতে ওঠে রায়োর খেলেয়াড়রা। তারুণ্যনির্ভর বার্সেলোনার ফুটবলাররা তাই প্রতিপক্ষের সামনে খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারছিলেন না।
বারবার আক্রমণে উঠলেও প্রতিপক্ষের প্রবল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে হয় বল হারিয়ে ফেলছিলেন, নতুবা ভুল পাস দিয়ে বলের ওপর দখর হারাচ্ছিলেন তারা। এর মাঝে সুযোগ পেলেই তীব্র গতিতে আক্রমণে উঠছিল রায়োর খেলোয়াড়রা।
এভাবে সময় গড়িয়ে যেতে থাকলে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে বার্সেলোনা। এরপর ৩৭তম মিনিটে রায়োর বক্সের দিকে এগিয়ে গিয়ে দূরের পোস্টে বাঁকানো শট হানেন লামিন ইয়ামাল, কিন্তু শটটি ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
৪৩তম মিনিটে একটি পাল্টা আক্রমণে ওঠে রায়ো। তবে শেষ মুহূর্তে বার্সেলোনার ডিফেন্ডারদের প্রচেষ্টায় গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেনকে ভোগাতে পারেনি তারা।
এরপরও গোলের সুযোগ তৈরির চেষ্টা করে বার্সেলোনা, তবে রায়োর জমাট রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ হয়ে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা।
৪৮৮ দিন আগে
লা লিগায় ফিরলেন হামেস রদ্রিগেস
২০২০ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর অনেকটা পর্যটকের মতো ইংল্যান্ড, গ্রিস ও ব্রাজিলে খেলে অবশেষে লা লিগায় ফিরলেন ২০১৪ বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটজয়ী কলম্বিয়ান ফুটবলার হামেস রদ্রিগেস।
ফ্রি ট্রান্সফারে স্প্যানিশ ক্লাব রায়ো ভায়েকানোয় যোগ দিয়েছেন তিনি। এক অফিশিয়াল বিবৃতিতে রদ্রিগেসকে দলে টানার কথা জানিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তবে বিবৃতিতে তার সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
২০১৮ বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর বিশ্বের বড় বড় ক্লাবগুলোর নজরে পড়েন রদ্রিগেস। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ওই টুর্নামেন্টজুড়ে ৬ গোল করে কলম্বিয়াকে বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা দৌড় কোয়ার্টার ফাইনালে তোলেন তিনি। দারুণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ জেতেন গোল্ডেন বুটও। এছাড়া শেষ ষোলোয় উরুগুয়ের বিপক্ষে দারুণ এক ভলিতে করা তার গোলটিই পরে পুসকাস পুরস্কার জিতে নেয়।
এরপরই প্রায় ৮০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে নাম লেখান হামেস। এটি ছিল সে সময়কার সর্বোচ্চ দলবদলগুলোর একটি। ২০২০ সাল পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদে কাটিয়ে তিনি যোগ দেন কার্লো আনচেলত্তির দায়িত্ব নেওয়া ইংলিশ ক্লাব এভারটনে। এর মাঝে অবশ্য ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ধারে বায়ার্ন মিউনিখে খেলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের জন্য সৌদির ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব ফেরাল রিয়াল
এভারটন অধ্যায় শেষ করে গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোস ও সবশেষ ব্রাজিলের ক্লাব সাও পাওলোয় যোগ দেন ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা মিডফিল্ডার। তবে ইউরোপে ফেরার আশায় গত গ্রীষ্মেই সাও পাওলোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ফ্রি এজেন্ট ছিলেন তিনি।
এরপর সদ্য সমাপ্ত কোপা আমেরিকায় অসাধারণ পারফর্ম করে ফের আলোচনায় আসেন এই তারকা ফুটবলার। দলকে ফাইনালে তোলার পথে একটি গোল ও ছয়টি অ্যাসিস্ট করেন তিনি। ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে কলম্বিয়ার হৃদয় ভাঙলেও হামেস জিতে নেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
কোপা আমেরিকার পর স্পেনে ফেরার ইচ্ছার কথা জানান তিনি। এরপর রায়োর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন। রায়ো ভায়েকানোর হয়ে খেলতে সৌদি আরবের বড় অঙ্কের প্রস্তাবও তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
চলতি মৌসুমে ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপন করছে রায়ো ভায়েকানো। ঐতিহাসিক এই মৌসুমের শুরুটাও দারুণ হয়েছে তাদের। লিগের প্রথম ম্যাচে রিয়াল সোসিয়েদাদকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে পরের ম্যাচে গেতাফের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে তারা।
আরও পাড়ুন: অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
ক্লাবটির এমন স্মরণীয় মুহূর্তে যোগ দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত হামেসও। তিনি বলেন, ‘রায়োর মতো একটি ঐতিহাসিক ক্লাবে যোগ দিতে পেরে আমি দারুণ অনুভব করছি। আমি সত্যিই এখানে ভালো কিছু করতে চাই। আমি যেখানেই যাই, এক ধরনের দায়িত্ব অনুভব করি।’
‘আমি জিততে পছন্দ করি। আর ক্লাবের এমন বিশেষ মৌসুমে তো অবশ্যই সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
আজ রাত দেড়টায় ঘরের মাঠে বার্সেলোনাকে আতিথ্য দেবে রায়ো ভায়েকানো।
৪৮৮ দিন আগে
ভিনিসিউসের জন্য সৌদির ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব ফেরাল রিয়াল
ভিনিসিউস দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝিয়ে দিল রিয়াল মাদ্রিদ। সম্প্রতি ২৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারকে প্রো লিগে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে সৌদি আরব। এর জন্য বিরাট অঙ্কের আর্থিক প্রস্তাব করলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এল চিরিঙ্গিতোর বরাত দিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপর্তিভো জানিয়েছে, ভিনিসিউসকে পেতে ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তবে সে প্রস্তাব গ্রহণ করেনি বর্তমান স্পেন ও ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
অবশ্য ভিনিসিউসের জন্য রাখা ১ বিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লসের অর্থ পরিশোধে সম্মত হলে রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষ থেকে সাড়া মিলতে পারে বলেও প্রতিবদনে বলা হয়েছে।
এর আগে, পাঁচ মৌসুমের জন্য ব্রাজিলের এই প্রতিভাকে মোট ১ বিলিয়ন ইউরো দেওয়া হয়েছিল বলে এক প্রতিবদনে জানায় রয়টার্স।
সূত্রের বরাতে বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছিল, বেতন-বোনাসসহ ভিনিসিউসকে প্রতি মৌসুমে ২০০ মিলিয়ন ইউরো করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ডকে ২০৩৪ সালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের দূত হওয়ারও একটি বিশেষ প্রস্তাব রাখা হয়েছিল চুক্তিতে।
এরপর এজেন্টের সঙ্গে এ নিয়ে ভিনি আলোচনা করেছেন বলেও জানা যায়। তার এজেন্ট তখন বলেন, মাদ্রিদে সুখে থাকলেও এই ধরনের বিরাট অঙ্কের প্রস্তাব অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করা উচিৎ।
আরও পড়ুন: সৌদির বিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব গ্রহণে ‘রাজি’ ভিনিসিউস
তবে এ ব্যাপারে রিয়াল মাদ্রিদ ভিনিসিউসকে নিয়ে এসব ভাবছে না। কিন্তু আগামী দলবদলের মৌসুমেও যদি সৌদি আরব এই তারকা ফুটবলের আশা না ছাড়ে, তবে পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে পড়তে পারে।
চলতি মৌসুমে শেষে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ দুই বছর অবশিষ্ট থাকবে ভিনিসিউসের। সাধারণত এমন পর্যায়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে নতুন চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করে থাকে ক্লাবগুলো। নতুন শর্তে না মিললে ওই খেলোয়াড় বিক্রি করে দিয়ে লাভের চেষ্টা করে থাকে ক্লাব।
সেক্ষেত্রে ভিনিসিউস রিয়ালকে কী ধরনের বেতন-বোনাসের প্রস্তাব দেবেন, আর তার পরিপ্রেক্ষিতে ক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে কতটা আশ্বস্ত করতে পারবে, সেদিকে চেয়ে থাকবে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে নতুন চুক্তি আলোচনায় সৌদি আরবের দেওয়া প্রস্তাবটি যে দুই পক্ষকেই প্রভাবিত করবে, তা আগে থেকেই বলে দেওয়া যায়।
সৌদির প্রস্তাবের পর ভিনিসিউস নিশ্চয়ই বেতন-বোনাস নিয়ে বেশ বড় লাফ দিতে চাইবেন, আর তাতে না পোষালে রিয়াল তাকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
আরও একটি বিষয় রিয়াল মাদ্রিদ ও ভিনিসিউস উভয় পক্ষকেই ভাবাতে পারে। আর তা হচ্ছে, এমবাপ্পের রিয়ালে যোগদান। দুজনে একই পজিশনের ফুটবলার হওয়ায় লা লিগার গত দুই ম্যাচেই রিয়ালকে আক্রমণভাগের বাঁ পাশে ভুগতে দেখা গেছে।
ভিনিসিউসকে বাঁয়ে খেলিয়ে এমবাপ্পেকে মাঝে, অর্থাৎ ৯ নম্বর পজিশনে খেলানো হলেও বারবার নিজের সহজাত পজিশনে চলে যেতে দেখা যায় এমবাপ্পেকে। ফলে বাঁ পাশে একপ্রকার নিষ্প্রভ ছিলেন ভিনিসিউস। আবার দুই পজিশনের বিড়ম্বনায় পড়ে নিজের স্বভাবসুলভ ফুটবল খেলতে পারেননি এমবাপ্পেও। ফলে রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি যদি পজিশনের এই জটিলতার সমাধান না করতে পারেন, তবে ভিনিসিউসের জন্য ভিন্ন কিছু ভাবা অপ্রাসঙ্গিক হবে না।
আরও পড়ুন: আক্রমণভাগে পরিবর্তন আসায় দলে ভারসাম্যের অভাব দেখছেন আনচেলত্তি
প্রসঙ্গত, নিজ দেশের ফুটবল লিগকে জনপ্রিয় করতে গত কয়েক বছর ধরে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে বিশ্বের নামকরা সব ফুটবলারদের কিনে চলেছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাবগুলো। এই তালিকায় ইতোমধ্যে নাম লিখিয়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, নেইমার, করিম বেনজেমার মতো তারকা ফুটবলাররা।
এর আগে, ফুটবলের আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো লিওনেল মেসি, ফ্রান্সের তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পেদেরও সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পিআইএফ। তবে লিওনেল মেসি বার্সেলোনা থেকে পিএসজি হয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলছেন। আর এমবাপ্পে পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এই মৌসুমে নিজের স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে নাম লিখিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পাঁচ বছরের জন্য রিয়াল মাদ্রিদে চুক্তির মেয়াদ বাড়ান ভিনিসিউস। ক্লাবটির জার্সিতে গত মৌসুমে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতে এ বছরের ব্যালন দ’র জয়ের অন্যতম দাবিদার হিসেবে ফুটবলবোদ্ধাদের বিবেচনায় রয়েছেন তিনি।
৪৮৮ দিন আগে
অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
প্রায় দুই যুগ আগে পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরু করেছিলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। বয়স ৩৯ বছর হয়ে গেলেও এখনও মাঠে আলো ছড়িয়ে চলেছেন তিনি। তবে বয়স বেড়ে যাওয়ায় প্রায়ই অবসর নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় এই তারকা ফুটবলারকে। তবে এ বিষয়ে আগেভাগে কাউকে কিছু জানাবেন না বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।
পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি যখন জাতীয় দল ছাড়ব, তার আগে কাউকে কিছু জানাব না। এটি আমার পক্ষ থেকে একটি সাবলীল সিদ্ধান্ত হবে।’
সদ্য অনুষ্ঠিত ইউরো আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেললেও মাঠের খেলায় গোলশূন্য ছিলেন রোনালদো। এমনকি, শেষ ষোলোয় স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি পেলেও তা মিস করেন পাঁচবারের ব্যালন দ’র জয়ী এই ফুটবলার। সবশেষ কোয়ার্টারে ফ্রান্সের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার পর তার অবসরের প্রসঙ্গটি উঠছে প্রায়ই।
তবে এসব আশঙ্কার মাঝেও জাতীয় দলের জার্সিতে ফের ডাক পেতে মরিয়া ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়।
আরও পড়ুন: রোনালদোর অর্জনের মুকুটে আরও একটি পালক
আগামী মাসে শুরু হতে চলা উয়েফা নেশন্স লিগের জন্য যে কোনো সময় স্কোয়াড ঘোষণা করতে পারেন পর্তুগাল কোচ রবের্ত মার্তিনেস। এই স্কোয়াডে ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে আল নাসর ফরোয়ার্ডের বক্তব্য, ‘এই মুহূর্তে জাতীয় দলকে সহযোগিতা করার কথাই শুধু আমার মাথায় রয়েছে। আমাদের সামনে এখন নেশন্স লিগ এবং সত্যিকার অর্থেই আমি (টুর্নামেন্টে) খেলতে চাই।’
২০১৬ সালের ইউরো অভিযানে সাইড লাইনে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের দিকনির্দেশনা দিতে দেখা যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও ইউভেন্তুসের হয়ে খেলা এই তারকাকে। তার পর থেকে ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর তার কোচিংয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা আলোচনা হয়েছে অনেক। তবে রোনালদো নিজে এ বিষয়ে ভাবছেনই না বলে জানালেন।
‘এই মুহূর্তে আমি মূল দল বা কোনো দলেরই কোচ হওয়ার কথা ভাবছি না। এটি আমার মাথায় কখনো আসেইনি। ভবিষ্যতে আমি নিজেকে কোচ হিসেবে দেখছি না।’
অবসরের পর ফুটবল নয়, এর বাইরে গিয়ে কিছু করবেন বলে জানালেন আন্তার্জতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
‘আমি নিজেকে ফুটবলের বাইরে অন্যকিছু করতে দেখছি, তবে ভবিষ্যতে কী হবে তা ঈশ্বরই জানেন।’
আরও পড়ুন: শেষ লগ্নেও মায়া ছড়িয়ে চলেছেন মেসি রোনালদো
সৌদি প্রো লিগে আজ রাত ১২টায় আল ফাইহার বিপক্ষে খেলতে নামবে রোনালদোর আল নাসর। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নেশন্স লিগে নিজেদের যাত্রা শুরু করবে পর্তুগাল। জাতীয় দলে সুযোগ পেলে ওই ম্যাচের পর ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলে সৌদি আরব ফিরবেন তিনি।
নেশন্স লিগের লিগ ‘এ’ এর গ্রুপ-১ এ পর্তুগালের অন্য প্রতিপক্ষ পোল্যান্ড। অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে পোলিশদের মুখোমুখি হবে তারা।
৪৮৯ দিন আগে
মাদুয়েকের হ্যাটট্রিকে গোল উৎসব করে জয়ে ফিরল চেলসি
প্রিমিয়ার লিগের প্রথম রাউন্ডে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দৃঢ় পারফর্ম করেও ২-০ ব্যবধানে হেরে মৌসুম শুরু করে চেলসি। এর ফলে হার দিয়ে প্রিমিয়ার লিগে চেলসি অধ্যায় শুরু করেন কোচ এনসো মারেসকা। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডেই উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষ গোল উৎসব করে জয়ে ফিরেছে ব্লুসরা।
রবিবার (২৫ আগস্ট) উলভসের মলিনো স্টেডিয়ামে ৬-২ গোলের জয় পেয়েছে চেলসি। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন চেলসির ২২ বছর বয়সী ইংলিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ননি মাদুয়েকে। বাকি গোল তিনটি করেন নিকোলাস জ্যাকসন, কোল পালমার ও সদ্যই আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে চেলসিতে ফেরা জোইয়াও ফেলিক্স।
উলভসের হয়ে দুটি গোল করেন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড মাথিউস কুনিয়া ও নরওয়ের তরুণ ফরোয়ার্ড ইয়োর্গেন স্ট্রান্ড লারসেন।
আরও পড়ুন: রাহিম স্টার্লিং পরিকল্পনায় নেই, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মারেসকা
এদিন ম্যাচের ৯৮ সেকেন্ডের মাথায় এগিয়ে যায় চেলসি। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল হেডারে জালে জড়ান চেলসির সেনেগাল স্ট্রাইকার নিকোলাস জ্যাকসন।
এরপর দুই পক্ষই একের পর এক আক্রমণে উঠতে থাকে। এর মধ্যে ১৯তম মিনিটে এনসো ফের্নান্দেসের বাড়ানো পাস ধরে বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে নেওয়া মাদুয়েকের নিচু শট প্রতিহত করেন উলভস গোলরক্ষক হোসে সা। তবে এর কিছুক্ষণ পরই স্বাগতিকদের সমতা ফেরান কুনিয়া।
ম্যাচের ২৭তম মিনিটে ডানপায়ের শটে চেলসির জাল কাঁপিয়ে দেন এই ব্রাজিলীয়। তবে ৪৫তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় চেলসি।
জ্যাকসনের বাড়িয়ে দেওয়া বল ধরে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন কোল পালমার।
তবে এগিয়ে থেকে বিরতি যাওয়া হয়ে ওঠেনি চেলসির। যোগ করা ৯ মিনিটের ষষ্ঠ মিনিটে স্বাগতিকদের ফের সমতায় ফেরান লারসেন।
৪৯০ দিন আগে
এমবাপ্পে না পারলেও অভিষেকে গোল এন্দ্রিকের, জয়ে ফিরল রিয়াল
প্রথম ম্যাচে ড্র করার পর লা লিগায় চলতি মৌসুমে প্রথম ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে মাঠে নামে রিয়াল মাদ্রিদ। তুলনামূলক দুর্বল রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ম্যাচের বেশিরভাগ সময় ধীরগতির ফুটবল খেলেও দারুণ জয়ে মাঠ ছেড়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
রবিবার (২৫ আগস্ট) বের্নাবেউতে ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতে জয়ে ফিরেছে লস ব্লাঙ্কোসরা।
ম্যাচের ৫০তম মিনিটে ফেদেরিকো ভালভার্দের ফ্রি কিক থেকে করা গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। এরপর ৮৮ ও যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে দুই গোল করেন বদলি হিসেবে নামা দুই খেলোয়াড় ব্রাহিম দিয়াস ও এন্দ্রিক।
এদিন নতুন মৌসুমে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে রিয়াল মাদ্রিদ। এর মাধ্যমে লা লিগায় ঘরের মাঠে অভিষেক হয় কিলিয়ান এমবাপ্পের। এছাড়া ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে অভিষেক হয় এন্দ্রিকের। তবে ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় খেলে এমবাপ্পে গোল না পেলেও তার পরিবর্তে মাঠে নেমে অভিষেক ম্যাচেই গোল আদায় করে নিয়েছেন এন্দ্রিক।
রিয়ালের নতুন নম্বর ৯ এবং ব্রাজিলের পরবর্তী সম্ভাব্য মহাতারকা হিসেবে আলোচনায় আসা এন্দ্রিকের অভিষেক ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন লস ব্লাঙ্কোসদের সাবেক নম্বর ৯ ব্রাজিল গ্রেট রোনালদো নাজারিও। তবে প্রতিপক্ষ দলের হয়ে মাঠে এসেছিলেন তিনি। ভায়াদোলিদের মালিকদের একজন রোনালদো।
আরও পড়ুন: মৌসুমের শুরুতেই বেলিংহ্যামকে হারাল রিয়াল মাদ্রিদ
ম্যাচের শুরু থেকেই তুলনামূলক শক্তিশালী রিয়াল মাদ্রিদ আক্রমণে উঠতে থাকে, আর রক্ষণাত্মক ফুটবলে মনোযোগী হয় ভায়াদোলিদ।
ম্যাচের নবম মিনিটে প্রথম সুযোগ তৈরি করে রিয়াল। মাঝমাঠে নিজেদের অর্ধ থেকে উড়ন্ত লম্বা পাস দিলে দ্রুগতিতে বলের কাছে পৌঁছে প্রতিপক্ষের বক্সের মধ্যে বাঁ পাশ থেকে বল ধরেন এমবাপ্পে। প্রথম ছোঁয়াতেই তিনি লক্ষ্যে শট নিলে ঝাঁপিয়ে তা প্রতিহত করেন লা লিগার প্রথম রাউন্ডে গোল না খাওয়া একমাত্র গোলরক্ষক কার্ল হাইন।
৪৯০ দিন আগে