ওয়ানডে সিরিজের পরের ম্যাচটি ২২ জানুয়ারি একই ভেন্যুতে হবে। এছাড়া চূড়ান্ত ও তৃতীয় ওয়ানডে ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে।
সিরিজ শুরুর আগে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় বাংলাদেশের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ক্রিকেটে বাংলাদেশের নিজস্ব একটি ব্র্যান্ড তৈরির লক্ষে তারা মাঠে নামবেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ জার্সি পরবে টাইগাররা
গণমাধ্যকে তামিম বলেন, ‘আমি সবসময় বাংলাদেশি স্টাইল অব ক্রিকেট, বাংলাদেশি ব্র্যান্ড অব ক্রিকেট গড়ে তোলার দিকে গুরুত্ব দেই। প্রত্যেকটা দেশের নিজস্ব স্টাইল আছে। আমি মনে করি না আমাদের অন্য কাউকে অনুসরণ করা উচিৎ। আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী নই, কিন্তু আমাদের এমন অনেক এডভান্টেজ আছে যা অন্যদের দলে নেই। তাই কাউকে অনুসরণ না করে বাংলাদেশি ব্র্যান্ড অব ক্রিকেট তৈরি করতে চাই।’
বাংলাদেশি ব্র্যান্ড অব ক্রিকেট তৈরির লক্ষে তামিম ওয়ানডে দলে ব্যাটিং লাইনআপে কিছুটা পরিবর্তন করতে চলেছেন। লোয়ার অর্ডারে সৌম্য সরকারকে নামানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন এবং সাকিব আল হাসানকে তার তিন নম্বরের পছন্দের জায়গা থেকে চার নম্বরে নিয়ে যাচ্ছেন।
সৌম্যের নতুন ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা সৌম্যকে বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপের আগে তার নতুন ভূমিকার কথা জানিয়েছি। আমরা বলেছিলাম যে তাকে একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে ব্যাট করতে হবে এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতির পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাই এটি আপনারা (মিডিয়া) ব্যতীত কারও জন্য অবাক হওয়ার কিছু নয়। ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি আমরা সকলেই এটি অনেক আগে জানি।’
আরও পড়ুন: টাইগারদের মোকাবিলায় স্পিনে জোর দিচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
‘দুর্বল’ ক্যারিবীয়দের হালকাভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ
সাকিবের নতুন চ্যালেঞ্জ বিষয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘এই বার্তা সাকিবের কাছে খুব স্বাভাবিক। আমি তার সাথে ব্যক্তিগতভাবেও কথা বলেছি এবং সে বলেছে এটি গ্রহণ করতে তার কোনো সমস্যা নেই। সাকিব এটা বুঝতে পেরেছেন। এটি (চার নম্বরে ব্যাট করা) তাকে আরও পরিস্থিতি বোঝার সুযোগ করে দেবে কারণ সে দীর্ঘদিন পর ফিরে এসেছে। আমরা সবাই জানি চার নম্বরে সাকিব কতটা ভালো ছিল, এই জায়গা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য তার রেকর্ডই যথেষ্ট। আমরা এটি সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত। সাকিব ৪ নম্বরে ব্যাট করতে পেরে খুশি।’
ইংল্যান্ডের সর্বশেষ আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাকিব বাংলাদেশের হয়ে তিনে ব্যাট করেছেন। যেখানে পাঁচটি অর্ধশত এবং দুটি সেঞ্চুরিতে ৬০৬ রান করেছেন।সর্বোচ্চ স্কোর ছিল অপরাজিত ১২৪। সব মিলিয়ে সাকিব ২৩ ম্যাচে তিনে ব্যাট করে দুটি সেঞ্চুরির সাথে ৫৮.৮৫ গড়ে ১ হাজার ১৭৭ রান করেছেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়ক হিসাবে তামিম ইকবালের হবে এটি প্রথম ওয়ানডে সিরিজ। এর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। যদিও তামিম সেই অভিজ্ঞতা ভুলে যেতে চাইবেন, কারণ লঙ্কানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ হেরেছিল। গত কয়েক বছর ধরে তামিম ঘরোয়া ক্রিকেটে বিভিন্ন দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সম্মিলিত সিদ্ধান্তে দলের বাইরে মাশরাফি: প্রধান নির্বাচক
আঙুলে চোট পেলেও উইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা নিয়ে শঙ্কা নেই তাসকিনের
তামিম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একই ভূমিকা পালন করার ঠিক আগে আমি দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্ব করেছি যা আমার জন খুব সুবিধা হয়ে উঠছিল। দুর্ভাগ্যজনক যে বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এর কারণে আমরা কিছু আন্তর্জাতিক ফিক্সচার মিস করেছি। তবে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আমি মনে করি লোকেরা সময়ের সাথে সাথে তা বুঝতে পারবে এবং আমিও এর মধ্য দিয়ে যাব। একই সাথে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনি কী পরিস্থিতিতে পড়ছেন। আমি মনে করি আপনাকে মাঝে মাঝে আলাদা চিন্তা করতে হবে,’ বলেন তিনি।
ওয়ানডে সিরিজের পর চট্টগ্রামে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। দ্বিতীয় টেস্ট ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় শুরু হবে।