তার সেঞ্চুরির সুবাধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ৪৩০ রানে।
এর আগে প্রথম দিনে স্বাগতিক দলের বেশির ভাগ ব্যাটসম্যান ভালো শুরু করতে পারলেও ইনিংসগুলো বড় করতে পারেননি। মেহেদী আট নম্বরে নেমে ১৬৮ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে ১০৩ রান করেন।
এর মধ্য দিয়ে খালেদ মাসুদ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সোহাগ গাজীর পর তিনি চতুর্থ বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে আট নম্বরে নেমে টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন। একই সাথে টেস্টে কমপক্ষে পাঁচ উইকেট ও সেঞ্চুরি করা তিনি এখন পঞ্চম বাংলাদেশি।
আরও পড়ুন: বিসিবিতে নতুন ভূমিকায় আসতে যাচ্ছেন শাহরিয়ার নাফীস
টেস্ট দলে যুক্ত হলেন হাসান মাহমুদ
মেহেদীর এই সেঞ্চুরির রেকর্ডে সপ্তম এবং নবম উইকেটে যথাক্রমে সাকিব এবং নাঈম হাসানের সাথে দুটি পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি হয়েছে।
এর আগে, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন প্রথম টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
ষষ্ঠ উইকেটে সাকিব-লিটনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২৪২ রান করে।
দীর্ঘদিন পর আইসিসির নিষেধাজ্ঞা শেষে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান হাফসেঞ্চুরি করেন।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে লিটন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে সফল বোলার জমেল ওয়ারিকানের শিকার হয়ে ৩৮ রানে ফিরে যান। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমে নাঈম হাসান করেন ২৪ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জমেল ৪৮ ওভারে ১৩৩ রান দিয়ে তিনটি ও রাহকিম কর্নওয়েল ৪২.২ ওভারে ১১৪ রানে দুই উইকেট শিকার করেন।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টাইগারদের টেস্ট দল ঘোষণা
এদিকে, টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান করেছে।
ক্যারিবিয়দের ওপেনার জন ক্যাম্পবেল এবং তিনে নামা শায়েস মোসলের উইকেট দুটি তুলে নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ৪৯ ও এনক্রুমা বোনার ১৭ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস) ৪৩০/১০ (মেহেদি ১০৩, সাকিব ৬৮,সাদমান ৫৯), জমেল ৪/১৩৩, কর্নওয়েল ২/১১৪।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংস) ৭৫/২ (ব্রাথওয়েট ৪৯* ও এনক্রুমা বোনার ১৭*), মোস্তাফিজ ২/১৮