জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনুর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেহেতু তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাই নিশ্চয় তিনি কোনো অপরাধে জড়িত বা অপরাধ হয়েছে বলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাউল গানে কোনো দোষ নেই। ‘যারা বাউল গান করেন তারা বা কোনো ব্যক্তি যদি কোনো অপরাধে সম্পৃক্ত হন তাহলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আইন তার ব্যবস্থা নেবে। এর সাথে গানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
তিনি ইনুর কাছে জানতে চান যে বাউলরা আইনের ঊর্ধ্বে কি না বা তারা কখনও কোনো অপরাধ করেননি কি না।
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বাউলদের পরামর্শ দেন যাতে তারা এমন কোনো কাজ না করেন যার ফলে বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান করে নেয়া বাউল গান প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ‘তাদের অবশ্যই এমন কাজ করা উচিত নয়। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। তাদেরও সতর্ক থাকতে হবে।’
মুসলিমদের ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে’ আঘাত দেয়ার মতো মন্তব্য করার দায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ১১ জানুয়ারি শরিয়ত সরকারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কথিত আছে যে গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ে এক গানের আসরে বাউল শরিয়ত গানের বিরোধিতা করা হুজুরদের সমালোচনা করেন এবং ইসলাম ধর্মে গান নিষিদ্ধ এমন প্রমাণ দিতে পারলে টাকা দেয়ার চ্যালেঞ্জ দেন।
এ ঘটনায় ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে’ আঘাত দেয়ার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় ৯ জানুয়ারি মামলা হয়। পরে এ মামলায় বাউল শরিয়তকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।