প্রধানমন্ত্রী বিকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলা একাডেমিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন।
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বইমেলা শুরু হলেও করোনা মহামারির কারণে এবার পিছিয়ে মার্চে শুরু হলো বইমেলা। রাজধানীতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলারে আয়োজন করা হয়েছে।
এবছর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বইমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে। ২০২১ বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত এবং বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘আমার দেখ নয়া চীন’ এর ইংরেজী সংস্করণ ‘নিউ চীনা ১৯৫২’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
আরও পড়ুন: শিশুদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
জোড়া মাথার যমজ রাবেয়া, রোকেয়া সফল অস্ত্রোপচারের পর বাড়ি ফিরল
সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
৭ মার্চ নিয়ে বক্তব্য: বিএনপি নেতাদের কড়া ভাষায় জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী
করোনা মহামারিতে সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গায় এবারের বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় থাকছে ৩৩টি প্যাভিলিয়ন।
এ বছর ‘শিশু প্রহর’ থাকছে না। শিশু কর্নার সোহরাওয়ার্দীতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এবার ‘লিটল ম্যাগাজিন কর্নার’ স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়া্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে।
প্রবেশপথে হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে মেলায় ঢুকতে দেয়া হবে না।
বইমেলা প্রতিদিন বিকাল ৩টায় শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।