সরকার আগামী মাস থেকে পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
শুক্রবার তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘তবে পরিবহন ব্যবসা পরিচালকসহ সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত আসবে।’
তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) প্রতিদিন ৯০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। ডিজেল ও অকটেনের দামে সমন্বয় আসতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এই ক্ষতি পূরণ করতে আমাদের জ্বালানির দামের সমন্বয় বিবেচনা করতে হবে। প্রতিবেশী ভারত ইতিমধ্যে প্রতি লিটারে ৫০ রূপি বাড়িয়ে দাম সমন্বয় করেছে।
আরও পড়ুন: পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানোর বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে: অর্থমন্ত্রী
গত ৭ বছরে বিপিসির প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বিপুল মুনাফা সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন, ইতিমধ্যে সেই লাভ লোকসানের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।
সরকার সর্বশেষ ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করে এবং এটি ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়।
এদিকে বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানোর বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসবে।
তিনি বলেন, ‘যখনই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তখনই আপনাদের জানানো হবে।’
আরও পড়ুন: ব্যবসায়িক গ্রুপ থেকে সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি কিনবে টিসিবি
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) পরপর দুটি বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে ভার্চুয়ালি ব্রিফিং করার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে সরকার সব সময় ভার বহন করার চেষ্টা করে।
কামাল বলেন, ‘কিন্তু যখন দাম অতিরিক্ত বেড়ে যায় তখন সরকার জনগণের সঙ্গে ভার ভাগ করে নেয়।’
তবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ২০১৫ সাল থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে এমন তথ্যের জবাব দেননি তিনি।
মুস্তফা কামাল বলেন, সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি মানুষকে কষ্ট কম দেয়া।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেলের ক্রমবর্ধমান বাজার হয়ে উঠছে ভারত, চীন