ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: মজনুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আলাল উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, আ. রাজ্জাক, আ. সাত্তার, আ. জব্বার, আউয়াল মিয়া ওরফে আউয়াল, সমর আলী ওরফে সমর এবং তমিজ উদ্দিন ওরফে তমু।
পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় বাগেরহাটে মাদরাসা সুপারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এছাড়া সোহেল রানা, সোহরাব মিয়া, বাবুল মিয়া ওরফে বাবুল এবং ফিরোজ মিয়া নামের চার আসামিকে পৃথক দুই ধারায় দেড় বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলা থেকে বারেক, মোস্তফা, মো. ওমর আলীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ৪ মার্চ দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৫ জুন তুরাগ থানাধীন নলভোগ গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে আলেক মিয়ার বাড়িতে আসামিরা লোহার রড, রাম দা, হকিস্টিক, শাবল, চাইনিজ কুড়ালসহ প্রবেশ করে সেখানে উপস্থিত অন্যদের মারতে শুরু করে।
ভয়ে আলেক মিয়া বাড়ির ছাদে যান। আসামি সমর আলী ও তমিজ উদ্দিন সেখানে গিয়ে আলেক মিয়াকে জাপটে ধরেন। আলাল, রাজ্জাক, জয়নাল রড দিয়ে তার মাথায়, শরীরে আঘাত করেন। সাত্তার শাবল দিয়ে ভিকটিমের কানের নীচে আঘাত করে। গুরুতর আহত আলেক মিয়া ছাদে পড়ে যান। এরপরও জব্বার এবং আউয়াল তাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। আলেক মিয়াকে চিকিৎসার জন্য ভাসানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ছোটভাই হাজী মো. রমজান আলী তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তুরাগ থানার এসআই মিজানুর রহমান ২০০৮ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।