ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কাছে দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পেরেছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বুধবার (১ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ১৫ আগস্টের শহীদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
ক্ষমতাসীন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভুলে যায় না।
তিনি বলেন, প্রতিবার ইশতেহার ঘোষণার সময় আমরা মূল্যায়ন করি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমরা কতটা অগ্রগতি করেছি।
আওয়ামী লীগ সরকার বাজেট ঘোষণার সময় অসমাপ্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা বিবেচনা করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকার তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যার পর জনগণ যে ভয়াবহ দিনগুলোর মুখোমুখি হয়েছিল তার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন ক্ষমতা জনগণের হাতে ছিল না।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা ছিল সামরিক স্বৈরশাসকদের হাতে যারা ইউনিফর্ম পরে অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছিল এবং ফলস্বরূপ তারা নিজেদের উন্নয়নের সাথে সাথে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।
তিনি বলেন, সামরিক শাসনামলে ১৯-২০টি সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছিল এবং অস্ত্রের ঝনঝনানির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশনজট ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ৯০ শতাংশ নিজস্ব উৎস দিয়ে গ্রামীণ পর্যায় থেকে দেশের উন্নয়ন করেছে।
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উদ্দেশ্য সৎ থাকায় তার সরকার চ্যালেঞ্জ নিতে পেরেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থে সেতুটি তৈরি করেছি। ইনশাআল্লাহ আমি ২৫ জুন সেতুটি উদ্বোধন করব।’
তিনি আরও বলেন, কানাডার একটি আদালতে এই প্রকল্প সংক্রান্ত সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ঘোষণা করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস ষড়যন্ত্র করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ৭১ বছর বয়সে অবৈধভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে ছিলেন। এ বিষয়ে তিনি মামলা করেন এবং হেরে যান।
তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্বব্যাংক ড. ইউনূসের অনুরোধে প্রকল্পের অর্থায়ণ বাতিল করে এবং পরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নিজস্ব অর্থে সেতুটি নির্মাণ করে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আওয়ামী লীগের পরবর্তী কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে প্রধানমন্ত্রী জানান।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
অনিশ্চিত প্রত্যাবাসন রোহিঙ্গাদের অপরাধের দিকে ঠেলে দিতে পারে: প্রধানমন্ত্রী