ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়নে রবিবার রাতে ও সোমবার ভোরে নির্বাচনী সহিংসতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা একটি ভোট কেন্দ্রে আটকে থাকায় বিজিবির একটি দল তাদের উদ্ধার করতে সেখানে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একপর্যায়ে তাদের গুলি চালাতে হয়। বিজিবির গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হতে পারে। তবে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমাদের আরও তদন্তের প্রয়োজন।’
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনজনের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং অপর দুজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ভোট শুরুর আগেই সহিংসতায় নিহত ২
আহতদের মধ্যে দুজন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতরা হলেন আদিত্য (১৮), মোজাহারুল ইসলাম (৩৫) ও হোসেন (২৬)।
পুলিশ জানায়, রাত ৮টার দিকে ভোট গণনা শেষ হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুজ্জামান ও তার সমর্থকরা প্রিসাইডিং অফিসারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ঘিডোব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘিরে রাখে।
হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আব্দুল করিম বিজিবির একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা করে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের ইউপি চেয়ারম্যান ঝিনাইদহের রিতু
এসময় বিজিবি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালালে ঘটনাস্থলে একজন নিহত ও চারজন আহত হয় বলে ওসি জানিয়েছেন।
আহতদের ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, বিক্ষিপ্ত সহিংসতা ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে রবিবার বিকালে তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে নির্বাচনী সহিংসতায় কমপক্ষে আটজন নিহত এবং কমপক্ষে ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, যশোর ও খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
ইউপি নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপেও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।