নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণনয়নসহ বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে ইসি গঠনের বিষয়ে চলমান সংলাপে অংশ নিয়ে এসব প্রস্তাব দেয় ক্ষমতাসীন দলটি।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ সংলাপে যোগ দেয়।
এ সংলাপের কয়েক ঘণ্টা আগে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে ইসি গঠনের বিষয়ে একটি খসড়া আইন অনুমোদন দেয়া হয়।
আওয়ামী লীগ তাদের প্রস্তাবে বলেছে, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতি যে প্রক্রিয়া উপযুক্ত মনে করবেন সে মোতাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা দিয়েছে।
আরেক প্রস্তাবে বলা হয়, প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তার ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ দেয়া।
প্রতিটি নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু করতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোরও প্রস্তাব করে প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনের বিষয়ে খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে একটি স্বাধীন ও কার্যকর ইসি অপরিহার্য বলেও মত দেয় আওয়ামী লীগ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা যেন নিরপেক্ষ হয় তা নিশ্চিত করা লাগবে।
প্রত্যেক ভোটারের নামের সঙ্গে ছবি যুক্ত করে ভোটার তালিকা নির্ভুল করা এবং ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটগ্রহণে ইভিএমের অধিক ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
নির্বাচনে পেশি শক্তির ব্যবহার বন্ধ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুসহ সব স্তরের ভোটাররা যাতে সঠিকভাবে তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায় দলটি।
প্রতিনিধি দল নির্বাচনের আগে ও পরে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে।