আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে অন্তত ৯ দিন মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
সংগঠনটি ঈদ ভ্রমণের সময় থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধ করতে এবং সমস্ত আন্তঃজেলা সড়কে অতিরিক্ত বাস ভাড়া নেওয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশিস কুমার দে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বর্তমান বিদ্যুৎ সংকটের ৯টি কারণ চিহ্নিত করেছে জাতীয় কমিটি
এছাড়া নাগরিক সংগঠনের নেতারা দেশের সকল সড়ক ও মহাসড়কে অনিবন্ধিত, ত্রুটিপূর্ণ ও অনুমোদনহীন যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবি জানান।
এসব দাবি বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম জোরদার করার জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রতিও আহ্বান জানান তারা।
নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত ঈদ ভ্রমণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সারাদেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে।
এছাড়া মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা গত বছরের সমস্ত সড়ক দুর্ঘটনার ৪০ শতাংশেরও বেশি।
তাই এই দুই চাকার গাড়িতে দূরপাল্লার যাতায়াতের কারণে ঈদ মৌসুমে আরও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ছোট ও অনিরাপদ যানবাহন মহাসড়ক ও আন্তঃজেলা সড়কে বাস ও ট্রাকের মতো বড় যানবাহনকে ধীর করে দেয়। এতে দুর্ঘটনা ও যানজটের আশঙ্কাও বাড়ে।
এছাড়া সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের থ্রি-হুইলার এবং নসিমন, করিমন, ভটভটি ও আলম সাধুর মতো স্থানীয়ভাবে তৈরি অসংখ্য যানবাহন সারাদেশের মহাসড়ক ও আন্তঃজেলা সড়কে চলাচল করছে।
অতীতের উদাহরণ তুলে ধরে জাতীয় কমিটির বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রতি ঈদে বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানি যাত্রীদের থেকে দেড় থেকে দুই গুণ ভাড়া নেয়।
এতে বাস মালিক-শ্রমিকরা বাড়তি টাকা আয় করলেও আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি লোডশেডিং অধিকাংশ বিতরণ সংস্থার