রাজধানীর নিজ সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে মাসব্যাপী নাট্যোৎসবের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে চাই তখন আমাদের সাংস্কৃতিক চর্চাগুলো খুবই প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় জাতীয় নাট্যোৎসব- ২০২০ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। দেশের ৬৪ জেলার ৪০০ নাট্যদল এতে অংশ নেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশু, কিশোর এবং তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথে আনার জন্য খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক অনুশীলন অপরিহার্য, কারণ সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ উভয়ই সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যেতে পারে।
‘শিশু, কিশোর ও তরুণদের আমরা যত বেশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার সাথে যুক্ত করব, ততই আমরা তাদেরকে সঠিক পথে আনতে সক্ষম হব,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সাংস্কৃতিক উন্নয়নকে একটি জাতির গুণমান হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের এই বৈশিষ্ট্যটি ধরে রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাংস্কৃতিক চর্চা একটি জাতির প্রকৃত বৈশিষ্ট্য উন্মোচন বা উপস্থাপন করতে পারে।
‘মুজিব বর্ষের’ প্রাক্কালে মাসব্যাপী নাট্যোৎসব আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেটে অবস্থিত এর বিভাগীয় কার্যালয়গুলো ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেয়।
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ৪০০ নাট্যদল থেকে ৩০ হাজার নাট্যকর্মী এই উৎসবে যোগ দেবেন এবং সারাদেশে মোট ৩০২টি নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের পরিচালনায় এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম এবং সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।