বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন মো.খুরশীদ আলম। জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: পাপুলকে নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ভুলভাবে প্রকাশিত হয়েছে: মন্ত্রণালয়
আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, আদালত তাদের (এমপি পাপুলের স্ত্রী ও মেয়ে) আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তবে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য ১০ দিন সময় দেয়া হয়েছে। এছাড়া আসামিদের এফডিআর এবং ঋণের টাকার ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতীয়মান হয়নি বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালকের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি নজরে আসলে, কোন কর্তৃত্ব বলে উপপরিচালক মো. আরেফিন আহসান মিঞা ওই চিঠি দিয়েছেন তা জানতে চেয়েছে আদালত। আগামী ৪ জানুয়ারি তাকে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: কুয়েতের নাগরিক হলে আসন হারাবেন এমপি পাপুল: প্রধানমন্ত্রী
গত ১১ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সেলিনাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- এমপি পাপুলের মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও সেলিনার বোন জেসমিন প্রধান।
অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতের কারাগারে আছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পাপুল।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত উপায়ে শত শত কোটি টাকা অর্জন করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
আরও পড়ুন: এমপি পাপুল কুয়েতের নাগরিক নন, নিশ্চিত করল দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়