চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনের প্রথম কার্যদিবসে ভাষণ প্রদানকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের পাশাপাশি বিরোধী দলগুলোকেও স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সহনশীলতা, মানবাধিকার এবং আইনের শাসন জোরদার করতে গঠনমূলক ভূমিকা নিতে হবে।
শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে: রাষ্ট্রপতি
এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলগুলোকে যথাযথ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
আবদুল হামিদ বলেন, দেশ ও জাতির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সুশাসন, গণতন্ত্র এবং উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অক্ষুণ্ন রেখে দেশ থেকে দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে সকলকে আরও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
রায়ের কপির জন্য যেন দিনের পর দিন ঘুরতে না হয়: রাষ্ট্রপতি
‘আসুন আমরা সকল বিভেদ ভুলে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে শোষণমুক্ত একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লাখ লাখ শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করি,’ বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি এ সময় অর্থনীতি, ব্যবসা ও বাণিজ্য, কৃষি, বিদ্যুৎ, বৈদেশিক সম্পর্ক, পর্যটন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ও শিশু উন্নয়ন, পল্লী উন্নয়ন, প্রবাসী কল্যাণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, আইসিটি এবং জনপ্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের কৃতিত্বের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে। আমাদের শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হবে। এ বছর আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করব। তবে আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়া।’
উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি চান রাষ্ট্রপতি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের পূর্ণ অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবে বলেও দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেন আবদুল হামিদ।
সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডোপ টেস্ট প্রবর্তনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদকের অপব্যবহার, জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির প্রশংসা বিশ্বজুড়ে হয়েছে।
সরকার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সময়কাল ১৬ মার্চ ২০২০ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির কারণে মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য গৃহীত কর্মসূচিগুলো যথাসময়ে শেষ করা যায়নি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে গৃহীত সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে, এই প্রচেষ্টা বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে ইতিবাচক একটি ভূমিকা পালন করবে।’
রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গবেষণা ও মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টিতে আরও মনোযোগ দিন: রাষ্ট্রপতি