বৃহস্পতিবার সংগঠনের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘আকস্মিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, এটা আজকে দিনের শুরুতে করা হয়েছে। আমাদের ৫০ কোটি টাকা অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে।’
‘যাদের ভিসা আছে তারা যেতে পারবেন কিনা বিষয়টি অস্পষ্ট। সকালে বিমানবন্দরে যেসব যাত্রী গেছেন সবাই অপেক্ষমাণ আছেন, কারও বোর্ডিং পাস হয়নি। আপাতত মনে হচ্ছে, ভিসা তো নতুন করে ইস্যু হবেই না, যাদের ভিসা করা আছে তারাও যেতে পারবেন না,’ যোগ করেন তিনি।
তসলিম জানান, এজেন্সিগুলোর প্রায় ১০ হাজার ওমরাহ ভিসা করা আছে এবং এসবের বিপরীতে প্রায় পাঁচ হাজার টিকিট কাটা হয়েছে। টিকিটগুলোর মধ্যে দুই হাজার স্বল্প-খরচের এয়ারলাইন্সের, যেগুলোর অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে না। সেখানে ৯ কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে। আর ভিসার জন্য সৌদি সরকারকে ২০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ ক্যারিয়ারে যে তিন হাজার টিকিট কাটা আছে সেগুলোর জন্যও আর্থিক ক্ষতি হবে। সেই সাথে হোটেল ভাড়ার মূল্য আগেই পরিশোধ করতে হয়েছে। হোটেল ও ভিসা মিলে মোট ক্ষতি ৩০ কোটি টাকা। ‘সব মিলিয়ে ৪০-৫০ কোটি টাকা তাৎক্ষণিক ব্যয় হয়েছে, যে টাকা আর ফেরত পাওয়া যাবে না। এটা এখন এজেন্সি ও ওমরাহ যাত্রীদের ক্ষতি হবে।’
সকালে যে বিমানগুলো সৌদি আরব গেছে সেগুলো ওমরাহ যাত্রীদের নেয়নি বলে উল্লেখ করেন তসলিম।
এদিকে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে সৌদি আরবে ভ্রমণ বা ওমরাহ ভিসায় গমনকারীরা অপাতত ভ্রমণ করতে পারবেন না। এসব ভিসাধারী যাত্রীদের মধ্যে যারা বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমণের জন্য টিকিট ক্রয় করেছেন তারা চাইলে অর্থ ফেরত নিতে পারবেন অথবা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর সিট খালি থাকলে তাদের জন্য ফ্লাইটে পুনরায় আসন বরাদ্দ করা হবে। তবে ওয়ার্ক পারমিট বা এমপ্লয়মেন্ট ভিসাধারীরা নির্ধারিত ফ্লাইটে সৌদি আরব যেতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ, সৌদি আরবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে না পড়লেও তাদের সাত নাগরিক বাহরাইন ও কুয়েতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।