মাদক মামলায় এক রোহিঙ্গাসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে অর্থদণ্ড প্রদান করে। ২০২০ সালে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা পাচার করার অভিযোগে তাদের এ দণ্ড দেয়া হয়।
বুধবার কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন-বালুয়াখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বশির আহমেদের ছেলে আয়াজ (৩৪), কক্সবাজার সদর উপজেলার আব্দুল মজিদের ছেলে বিল্লাল (৩৭), মকবুল আহমেদের ছেলে আজিমুল্লাহ (৪৩) ও খাগড়াছড়ি জেলার ফয়জুল হকের ছেলে আবুল কালাম (৩৭)।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: নারায়ণগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা সকলে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়,২০২০ সালের ২৩ আগস্ট রাত ৭ টা ৫ মিনিটের দিকে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল কক্সবাজার শহরের মাঝির ঘাটে খুরুস্কুল ব্রীজ এলাকায় একটি ফিশিং বোট আটক করে। একইসঙ্গে ফিশিং বোটে থাকা মো.আয়াজ ও মো. বিল্লালকে গ্রেপ্তার করে। তখন র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও চার থেকে পাঁচ জন দৌড়ে পালায়। পরে ফিশিং বোট তল্লাশি করে ১৩ লাখ ইয়াবা টেবলেট, ১০ হাজার ৯০০ নগদ টাকাস ফিশিং বোটটি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-১৫ এর নায়েব সুবেদার মো. হারুনর রশীদ বাদী হয়ে উল্লেখিত দু’জন সহ অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচ জনকে আসামি করে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার ঘটনাস্থলে আটক আসামি মো. আয়াজ ও মো. বিল্লাল তাদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ এর এসআই মোহাম্মদ সোহেল সিকদার ২০২১ সালের ১০ জুন আদালতে মামলাটির চার্জশিট দেন।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার চার আসামির সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে হিমাদ্রী হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ১জনের মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন