পতেঙ্গা নেভাল এলাকায় বাটারফ্লাই পার্কের পাশে ১০০-শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক ও ফিল্ড হাসপাতাল প্রকল্পটির সমন্বয়ক জামাল উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ফিল্ড হাসপাতালটিতে ৫০-শয্যা দিয়ে শুরু হবে, যা পর্যায়ক্রমে ২০০-শয্যাবিশিষ্ট হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, আগামী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে হাসপাতালটির কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে। সম্প্রতি অক্সিজেন ও চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগী চট্টগ্রামে মারা যায়। তাই হাসপাতালটিতে পোর্টেবল অক্সিজেনের পাশাপাশি অতি দ্রুত কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে।
ফিল্ড হাসপাতাল প্রকল্পটির সমন্বয়ক জামাল বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ক্রয় শুরু করেছি ও হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থার আয়োজন চলছে।’
তিনি জানান, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের এ উদ্যেগকে সফল করার জন্য এগিয়ে এসেছে। হাসপাতালে ১২ জন ডাক্তার, ১৮ জন নার্স ও ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক জামাল জানান, চট্টগ্রামে অনেক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত, অনেক হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না। এ পর্যন্ত অনেকেই মারা গেছেন। বিনামূল্যে এসব রোগীদের, বিশেষ করে দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এই হাসপাতাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
‘আশা করি আমাদের এ হাসপাতালটি স্থাপিত হলে চট্টগ্রামের সরকারি হাসপাতালগুলোতে কিছুটা হলেও চাপ কমবে এবং করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষ উপকার পাবে,’যোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন একটি বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যা শিশুদের নিয়ে কাজ করে। সংগঠনটি পথশিশু, সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র ও অসচ্ছল শিশুদের মৌলিক শিক্ষা, আহার, চিকিৎসা এবং আইন সেবা প্রদান করে থাকে।
দেশের করোনাভাইরাস জনিত সঙ্কটকালে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য ত্রাণ নিয়ে পুরো শহরময় ছুটছে এর স্বেচ্ছাসেবীরা৷ সশস্ত্র বাহিনীসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায়ও ত্রাণ পাঠিয়েছে।
যখন চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক, নার্সদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের সংকট ছিল তখন বিদ্যানন্দ নিজেদের বাসন্তী গার্মেন্টসে পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বানিয়েছে। সেই পিপিইগুলো বিনামূল্যে সরবরাহ করেছে ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
মসজিদ, হাসপাতাল, বাস, রেলস্টেশনের মতো জায়গাগুলো যেখানে জনসমাগম বেশি হয়, ভাইরাস সংক্রমণ ঘটাতে পারে, সেখানে জীবাণুনাশকও ছিটিয়েছে।