তার ছেলে সাগর লোহানী সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
কামাল লোহানী ফুসফুস ও কিডনির সমস্যার পাশাপাশি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
কামাল লোহানী ২০১৫ সালে একুশে পদক পান এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: কামাল লোহানীর মৃত্যু সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি: রাষ্ট্রপতি
কিংবদন্তি সাংবাদিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী ১৯৩৪ সালের ২৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, ভারত ভাগ এবং ভাষা আন্দোলনের জীবন্ত সাক্ষী হয়ে বেড়ে উঠেন।
একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বার্তা বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
১৯৫৫ সালে দৈনিক মিল্লাতে সাংবাদিক হিসাবে প্রথম চাকরি শুরু করেন লোহানী। তিনি ১৯৬২ সালে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়নটে সেক্রেটারি হিসেবে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক চেতনার যোদ্ধাকে হারালাম, লোহানীর মৃত্যুতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
সাংবাদিক কামাল লোহানীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাংবাদিকতা ছাড়াও আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে কামাল লোহানী বড় অবদান রেখেছেন।’
তিনি আরও বলেন, দেশ একজন মহান সাংবাদিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছে। তার মৃত্যু দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
রাষ্ট্রপতি বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক শোকবার্তায় বলেন, কামাল লোহানী বাঙালির ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। একজন আদর্শবান ও গুণী মানুষ হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠা এবং দেশের সংস্কৃতি বিকাশের আন্দোলনে পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি।
‘আমরা একজন প্রগতিশীল ব্যক্তিত্ব এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার অসাধারণ যোদ্ধাকে হারালাম,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
কামাল লোহানীর মৃত্যুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন
এছাড়া, তার মৃত্যুতে জাতীয় প্রেস ক্লাব শোক জানিয়েছে। ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন এক বিবৃতিতে মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।