বুধবার বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া ইউএনবিকে বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিবডি কিটটি করোনাভাইরাস শনাক্ত করার ক্ষেত্রে অকার্যকর বলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি।’
তিনি জানান, বিএসএমএমই ‘র অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বাধীন পারফরম্যান্স কমিটি গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে। আজ (বুধবার) সকালে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ওই কমিটি।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় আক্রান্ত লাখ ছুঁই ছুঁই, আরও ৪৩ জনের মৃত্যু
উপাচার্য আরও বলেন, ‘কমিটি গণস্বাস্থ্যের ৫০৯টি অ্যান্টিবডি কিট ব্যবহার করে এ পরীক্ষাটি পরিচালনা করেছে। তাদের বিশ্লেষণে, করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে কিটটি অকার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে।’
এ অ্যান্টিবডি কিটের পারফরম্যান্স স্টাডির প্রতিবেদন ইতিমধ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) কাছে জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান বিএসএমএমইউ উপাচার্য।
গণস্বাস্থ্যের মতে, তাদের অ্যান্টিবডি কিটটি কেউ আগে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিল কিনা এবং তাদের দেহে অ্যান্টিবডি বা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কিনা তা শনাক্ত করতে সহায়তা করবে।
এছাড়া যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের প্লাজমা সংগ্রহ করতেও এ কিট সহায়তা করবে বলে জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানান আলোচনা চলছে।
গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে বিএসএমএমইউতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি দেয় ডিজিডিএ। পরে, গত ২ মে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করে। এরপর বিএসএমএমইউতে কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য।
আরও পড়ুন: করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪১,৪৩৯
গত ১৭ মার্চ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ঘোষণা দেয় যে, তারা একটি কিট তৈরি করেছে যা কোভিড-১৯ শনাক্ত করতে ১৫ মিনিটের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করতে সক্ষম।
এদিকে মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে একদিনে আরও ৪৩ জন মারা গেছেন। সেই সাথে নতুন আক্রান্তের সংখ্যাতেও রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪০০৮ জন। শনাক্তের হার ২২.৮৭।
বুধবার নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ নিয়ে নতুন আক্রান্তসহ এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনার শিকার হয়েছেন ৯৮ হাজার ৪৮৯ জন। আর মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩০৫ জনে।