সব ধরনের গণপরিবহন ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রণালয় থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
তবে, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান এবং জ্বালানি, জরুরি সেবা ও পচনশীল পণ্যের গাড়ি নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে বলে উল্লেখ করেন কাদের।
তিনি বলেন, কোনো পণ্যবাহী গাড়ি যাত্রী বহন করতে পারবে না।
মঙ্গলবার দেশের সব বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ওঠানামাও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক বলেন ‘আজ রাত ১২টা থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে সব বিমানের ফ্লাইট বন্ধ থাকবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বজায় থাকবে।’
সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলও আজ সন্ধ্যার পর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকছে। তবে এ সময় মালবাহী ও তেলবাহী ট্রেন সীমিত পরিসরে চলাচল করবে।
দুপুরে রেলভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকে শিডিউল অনুযাযী কোনো ট্রেন চলবে না।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ আজ বিকাল থেকে নৌ পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকাল থেকে লঞ্চসহ সব ধরনের নৌ যান চলাচল করতে দেয়া হবে না। তবে পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ যথারীতি চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।’
এদিকে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও করোনাভাইরাস রোধের অন্যান্য উদ্যোগ জোরদারে বেসামরিক প্রশাসনকে সাহায্য করতে আজ থেকে দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) মঙ্গলবারের তথ্য অনুযায়ী, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত দেশে ৩৯ জন আক্রান্ত এবং চারজন মারা গেছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার সোমবার এক সিদ্ধান্তে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সেই সাথে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সময়সীমা ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫১৫ জনে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, ভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬৫ জন। এদের মধ্যে বর্তমানে ২ লাখ ৬০ হাজার ৩৮১ জন চিকিৎসাধীন এবং ১২ হাজার ৬২ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়া, ১ লাখ ২ হাজার ৬৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।