রবিবার সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তাদের লাশ বাংলাদেশে আনা হয়।
তাদের সাথে থাকা আহত ফুপাতো ভাই কাজী শফিউর রহমান চৌধুরী জিয়াদ জানান, গত বুধবার ডাক্তার দেখাতে তারা ভারতে যান। কলকাতা শহরের বাইপাসের সড়কের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চোখ দেখিয়ে শুক্রবার রাতের খাওয়া শেষে তারা শেক্সপিয়ার সরণির চৌরাস্তার মোড়ে পুলিশ বক্সের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। রাত ২টার দিকে একটি জাগুয়া দ্রুত গতিতে একটি মার্সিডিজকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে মইনুল আলম ও ফারহানা ইসলাম তানিয়াকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন। ঘটনার সময় একটু দূরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান জিহাদ।
নিহত মইনুল আলম যশোরের ঝিনাইদহের বাসিন্দা। কাজের সূত্রে তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন। নিহত তানিয়া ঢাকায় সিটি ব্যাংকের ধানমণ্ডি শাখার ম্যানেজার ছিলেন।
দুর্ঘটনার জন্য কলকাতার রেস্তোরাঁ আরসালানের মালিকের ছেলে পারভেজ আরসালানকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। দুর্ঘটনার সময় তিনিই চালকের আসনে ছিলেন বলে তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
পুলিশ জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সী আরসালান পারভেজ লন্ডনের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। কয়েকদিনের ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। তার বিরুদ্ধে 'মোটর ভেহিক্যালস অ্যাক্ট'র একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এছাড়া বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।