কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি না হওয়ায় চলমান লকডাউন ১৬ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে সরকার।
রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
পূর্ববর্তী সব নির্দেশনা এবং বিধিনিষেধকে কার্যকর রেখে প্রজ্ঞাপনে নতুন কিছু শর্তের কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সব পর্যটনস্থল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।
এছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় বা সরবরাহ করতে পারবে এবং আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীকে সেবা দিতে পারবে।
এছাড়া আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহণ আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে আরও ৩৮ মৃত্যু, শনাক্ত ১৬৭৬
এছাড়াও করোনা ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোতে জেলা প্রশাসকরা সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ওই এলাকায় ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে সরকার ৬ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়েছিল।
চলতি বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সেটি পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। পরে আবার তা ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়, এরপর আবারও বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি
করোনাভাইরাসে দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জন মারা গেছেন বলে রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এনিয়ে দেশে মোট মৃত্যু ১২ হাজার ৮৩৯ জনে দাঁড়াল।
এছাড়া একদিনে ১ হাজার ৬৭৬ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ১০ হাজার ৯৯০জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: খুলনার করোনা হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি
চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী ১০ গ্রামে লকডাউন শুরু
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১০.৭৩ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৬১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৯৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৫১ হাজার ৩২২ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৮ শতাংশ।