চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ক্রিকেট দল সফরকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা এবং খেলা চলাকালে চট্টগ্রাম মহানগরীতে থাকবে সাত স্তরের নিরাপত্তা। এর মধ্যে হোটেলে থাকবে তিন স্তরের এবং স্টেডিয়ামে থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা। নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়োজিত থাকবে সিএমপির ৯০০ পুলিশ সদস্য।
বৃহস্পতিবার সিএমপি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মধ্যে একমাত্র টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে। দল দুটি চট্টগ্রামে আসবে ২৩ নভেম্বর। এরপর থেকে সাত স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তাদের রাখা হবে। উভয় দল ২৪ ও ২৫ নভেম্বর জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম চট্টগ্রামে অনুশীল করবে। এরপর ২৬ নভেম্বর একই স্টেডিয়ামে দুদেশের মধ্যকার পাচঁ দিনের টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ১ ডিসেম্বর দুই দল ঢাকার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ত্যাগ করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের টিকেট বিক্রি বৃহস্পতিবার
পুলিশ কমিশনার জানান, বাংলাদেশ -পাকিস্তান ক্রিকেট দলের চট্টগ্রাম সফরকালে ক্রিকেটারদের হোটেল অবস্থান কালে চট্টগ্রাম রেডিসন ব্লু বে ভিউতে তিন স্তরের নিরাপত্তা এবং জহুর আহাম্মদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চার স্তরের নিরাপত্তা দেয়া হবে। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে সড়ক পথে এস্কর্ট প্রধান, বিমান বন্দরে নিরাপত্তা, খেলোয়াড় গমনাগমনে নিরাপত্তা ডিউটি, হোটেল কেন্দ্রীক নিরাপত্তা, স্টেডিয়াম কেন্দ্রীক নিরাপত্তা, অনুশীলন ডিউটি, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কুইক রেসপন্স টিম, সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট দায়িত্ব পালন করবে। সব মিলিয়ে ৯০০ পুলিশ সদস্য বাংলাদেশ-পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সফর উপলক্ষে সাত স্তরের নিরাপত্তা দিবে।
আরও পড়ুন: মুশফিককে বাদ দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
পুলিশ ছাড়াও র্যাব, এপিবিএন, ফায়ার সার্ভিস, এনএসআই, ডিজিএফআই, জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(প্রশাসন ও অর্থ) সানা শামীমুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আমির জাফরসহ ডিজিএফআই, এনএসআই, ফায়ার সার্ভিস, চসিক, বিমান বাহিনী, সিডিএ ও ওয়াসাসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।